কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র বন্ধের আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অ্যালামনায় এসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মিলানায়তনে এক জরুরী প্রতিবাদ সভায় ওই আহবান জানান বাকৃবি অ্যালামনায়, কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডঃ মোঃ আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে কৃষি খাতে অকল্পনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। শুধু ফসলের মাঠে নয়- সব ক্ষেত্রেই এমনকি ছাদ কৃষিতে ব্যাপক আগ্রহ ও সাফল্য অর্জন করেছে। আর এ সাফল্য এসেছে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সুদক্ষ নের্তেত্বের কারণে। মাননীয় কৃষিমন্ত্রী একজন কৃষিবিদ, কৃষি গবেষক ও কৃষিতে উচ্চশিক্ষিত হওয়ায় এ কাজটি করা তার পক্ষে আরো সহজ হয়েছে। কৃষির কোন জায়গায় গুরুত্বআরোপ করা দরকার, সে জায়গাটিতেই তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন কারণ কৃষির এ বিষয়টি তিনি জানেন, বোঝেন।
বক্তারা বলেন, করোনাকালের কথা সবারই মনে রয়েছে, সারাবিশ্ব যখন খাদ্য সংকটে ভুগেছে সেখানে বাংলাদেশ ছিল ব্যতিক্রম। সব কিছু বন্ধ থাকলেও কৃষির উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়নি। আর এ সিদ্ধান্ত ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার। তার সে এ সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করেছে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। করোনাকালেও তিনি সুরক্ষা বজায় রেখে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কৃষকের কল্যাণে ছুটে গেছেন। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় উন্নত প্রযুক্তিতে ধান কাটা, মাড়াইয়ের কাজে প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আর এ কারণেই আমরা করোনাকে মোকাবেলা করতে পেরেছি, খাদ্য সংকটে পড়তে হয়নি আমাদের। জননেত্রী ও কৃষির এ সাফল্যে ঈষার্ন্বিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নামে হাতে গোণা কয়েকজন কুচক্রী মহল অপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এছাড়াও কৃষিবিদ ইনস্টিউশনের অচলঅবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছে একটি স্বার্থলোভী গোষ্ঠী। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে কোন নিবার্চন না হওয়ায়, ইনস্টিউশনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বক্তারা অপপ্রচারকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সোচ্চার থাকার আহবান ও দ্রুত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশের নির্বাচনের দাবি জানান।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি কৃষিবিদ আবুল ফয়েজ কুতুবী, বাকৃবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ ছালেহ আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মো. বেনজির আলম, কৃষি ক্যাডার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, আমেরিকা প্রবাসী কৃষিবিদ মকবুল হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এফ এম হায়াতুল্লাহ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহাজাহান কবীর, কৃষি গবেষণার মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, বাকৃবি গণতান্ত্রিক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. আবু হাদী নূর আলী খান, মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের ড. আব্দুল বারী, বিএডিসি ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশনর সভাপতি ইঞ্জি শিবেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, ঈক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবদুল আউয়াল, বিএডিসি কৃষিবিদ সমিতির সভাপতি কৃষিবিদ প্রদীপ চন্দ্র দে, বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আজিজ, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সরোয়ার মুর্শেদ জাস্টিস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিছবাহুজ্জামান চন্দন , রফিকুজ্জামান ইমন, বাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. আরিফ জাহাঙ্গীর, বাকৃবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম আনোয়ারুল হক, বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষ ও অ্যালামনায়বৃন্দ।