দাপ্তরিক কার্যক্রমের কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রকৌশলী এ এস এম আল মামুনুর রশীদের মনগড়া নিয়মে চলছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে বরাদ্ধের বাহিরে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন গভীর নলকূপ। প্রকৌশলীর স্ত্রী পুলিশ প্রশাসেন চাকরি করায় তার অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গেলে দেওয়া হয় মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেবার হুমকি।
প্রকৌশলী এএসএম আল মামুনুর রশীদের এমন দুর্নীতি ও নিয়মবহির্ভূত কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল অধিদপ্তরের মেকানিক শামীম আহমেদ ও মোস্তফিজুর রহমান।
অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, এএসএম আল মামুনুর রশীদ মদন উপজেলায় গত ২৪ মে ২০২২ তারিখে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি নিজের ইচ্ছা মাফিক অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তিনি নলককূপ স্থাপনের মিস্ত্রীদেরকে চাপ সৃষ্টি করে তত্ত্বাবধায়কের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজের ইচ্ছামতো সাইট পরিচালনা করেন। এছাড়াও নির্ধারিত বরাদ্ধের বাহিরে টাকার বিনিময়ে অন্যত্র গভীর নলকূপ বিক্রি করে দেন।
অভিযোগে উল্লেখ আছে ২০২১/২০২২ অর্থ বছরের হাওর ও সমগ্র বাংলাদেশ পানি সরবরাহ প্রকল্পের বরাদ্ধের দুইটি গভীর নলকূপ নিয়মবহির্ভূত ভাবে নায়েকপুর ইউনিয়নের গাবরতলা গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন ও চানগাঁও ইউনিয়নের চানগাঁও গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন।
উপজেলা প্রকৌশলী এসএমএম আল মামুনুর রশীদ জানান, আমার বিরুদ্ধে অফিসের স্টাফরা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি বরাদ্ধকৃত তালিকার বাহিরে কোন জাগায় নলকূপ দেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান জানান, আমি অফিশিয়াল কাজে ঢাকায় আছি। মদন এসে বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযোগের কপিসহ বিষয়টি লিখিত ভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।