ময়মনসিংহে ট্রাকের ধাক্কায় মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেয়া নবজাতকের জন্য ১৫ দিনের পরিবর্তে বরাদ্দ সাপেক্ষে ৫ লাখ টাকা দিতে ট্রাস্টি বোর্ড হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন চেয়ে আবেদন করেছে।
বিচারপতি খিজির আহেমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বৃহস্পতিবার আবেদনটি শুনানির জন্য রয়েছে।
নবজাতককে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও তার কল্যাণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ১৮ জুলাই আইনজীবী কানিজ ফাতিমা তুনাজ্জিনা হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পরদিন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ঘোষিত আদেশে আদালত বলেন, নবজাতকের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে নবজাতকের দেখভাল ও তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করতে সমাজকল্যাণ সচিবকে নির্দেশ দেয়া হলো। নবজাতকের কল্যাণে নেয়া পদক্ষেপ জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
রুলে নবজাতকের আইনগত অভিভাবককে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাস্টি বোর্ডকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, সড়ক পরিবহন আইনের ৫৪ ধারায় গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ট্রাকমালিককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এদিকে আদেশ সংশোধন চেয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যানের আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আবেদনে অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে ৫ লাখ টাকা দিতে ১৫ দিনের পরিবর্তে অর্থ বরাদ্দ পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছে। আজ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে।’
১৬ জুলাই ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় এক দম্পতি ও তাঁদের ছয় বছরের মেয়ে নিহত হয়। মৃত্যুর আগমুহূর্তে অন্তঃসত্ত্বা মা সড়কে মেয়েসন্তান জন্ম দেন। শিশুটির নাম রাখা হয় ফাতেমা। শিশুটিকে গত সপ্তাহে রাজধানীর আজিমপুরে অবস্থিত ছোটমণি নিবাসে আনা হয়।
নবজাতককে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও তার কল্যাণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ১৮ জুলাই আইনজীবী কানিজ ফাতিমা তুনাজ্জিনা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পরদিন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।