২০২২ এর জনশুমারি অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যার ৯১ দশমিক ০৪ শতাংশ মুসলমান এবং ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ হিন্দু। গত এক দশকে ইসলাম ধর্মাবলম্বি জনসংখ্যা বেড়েছে ০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর গত এক বছরে হিন্দু ধর্মাবলম্বি জনসংখ্যা কমেছে ০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সেখানে একই সময়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। দেশে এক বছরে মুসলিম জনগোষ্ঠী বেড়েছে ০.৬৫ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি ময়মনসিংহে।
বুধবার (২৭ জুলাই) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী। তৃতীয় লিঙ্গ ১২ হাজার ৬২৯ জন।
২০২২ এর জনশুমারি অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যার ৯১ দশমিক ০৪ শতাংশ মুসলমান, ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ হিন্দু, ০ দশমিক ৬২ শতাংশ বৌদ্ধ, ০ দশমিক ৩০ শতাংশ খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ০ দশমিক ১২ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৯০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ০ দশমিক ৬২ শতাংশ, ০ দশমিক ৩১ শতাংশ ও ০ দশমিক ১৪ শতাংশ।
জনশুমারি অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন গ্রামের বাসিন্দা। আর শহরের বাসিন্দা পাঁচ কোটি ২০ লাখ নয় হাজার ৭২ জন। দেশে জনসংখ্যার গড় বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১১ সালের শুমারিতে এই হার ছিল ১ দশমিক ৪৬।
বিবিএস জানায়, এক দশকে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন। সর্বশেষ ২০১১ সালের জনশুমারির অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা ঘনত্বের হার ১ হাজার ১১৯ জন।
এতে আরও বলা হয়, দেশে ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে ১০০ জন নারী। ১০ থেকে তার বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত ও ৬৫ শতাংশ বিবাহিত। সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধিতার হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।