সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির ত্রাণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলার ৯৪ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শনিবার (২৭ জুন) কমিশন থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় বলে দুদক। সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯৪ জন প্রতিনিধিদের মধ্যে ৩০ জন ও ৬৪ জন মেম্বার। এসব জনপ্রতিনিধিকে ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে বরখাস্তও করেছে।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ২১টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এসব মামলায় অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। নতুন করে এই ৯৪ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আশা করি, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।’
দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘ত্রাণ চুরির বিরুদ্ধে দুদক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারও প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই।’ প্রত্যেক দুর্নীতিবাজকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।