‘৬ স্থলবন্দরে বিওটি অপারেট পদ্ধতির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল’

‘ছয়টি স্থলবন্দর বিল অন ট্রান্সফার (বিওটি) পদ্ধতিতে অপারেট করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো’ বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক, আর্থিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ছয়টি স্থলবন্দর বিল অন ট্রান্সফার (বিওটি) পদ্ধতি বা প্রাইভেট কোম্পানিকে অপারেট করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো। বর্তমানে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বেড়েছে। সেবার মাধ্যমে বন্দরের আয় বৃদ্ধি করা লক্ষ্য হওয়া উচিত। বেনাপোল স্থলবন্দরকে আরও যাত্রীবান্ধব উপযোগি করে তোলা হবে। যাত্রীসেবার সুযোগ সুবিধা ও অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী স্থলবন্দরগুলোতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেন। গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরগুলোতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন।

বৈঠকে জানানো হয়, বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরে ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে এবং অন্যান্য বন্দরে অগ্নিনির্বাপনের জন্য ফায়ার এক্সটিংগুইসার রয়েছে।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষিত স্থলবন্দর রয়েছে ২৪টি। এর মধ্যে ১২টি বন্দর চালু রয়েছে। ১২টির মধ্যে বেনাপোল, বুড়িমারী, আখাউড়া, ভোমরা, নাকুগাঁও, তামাবিল ও সোনাহাট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং সোনামসজিদ, হিলি, বাংলাবান্ধা, টেকনাফ ও বিবিরবাজর স্থলবন্দর বিওটি ভিত্তিতে চালু আছে।

বিরল স্থলবন্দর বিওটি ভিত্তিতে দেওয়া হলেও এখনো সেটি চালু হয়নি। ২০০৭ সালে বিএনপি সরকার উল্লেখিত ছয়টি স্থলবন্দরকে বিওটি ভিত্তিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেয়।

Share this post

scroll to top