৩ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের হাজিগাঁও ও কাঁজীশাল গ্রামের ৩ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বাঁশের সাঁকো দিয়ে।

এলাকাবাসী জানান, বন‌্যার পানিতে এখনো রাস্তাগুলো ডুবে আছে। বড় সাঁকোগুলো পার হতে অনেক কষ্ট করতে হয়। এমনকি বয়স্ক ও শিশুরা হরহামেশাই সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। অসুস্থদের হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

তারা বলেন, চলমান বন্যার পানি চলে গেলে ছোট ছোট কিছু রাস্তা নতুন করে সংস্কার করে বা তৈরি করে দিলে এই ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
সিরাজদিখান উপজেলার কাজীসাল গ্রামের আল-আমিন শেখ বলেন, ‘আমাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ‌্যম বাঁশের সাঁকো। সাঁকো ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। চেয়ারম্যান, মেম্বাররা যদি আমাদের যাতায়াতের জন্য রাস্তা করে দিত তাহলে এ বর্ষা মৌসুমে আমাদের আর কষ্ট করতে হতো না।’

হাজিগাঁও গ্রামের মমিন বেপারি বলেন, ‘আমাদের গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই বাশের সাঁকো। সাঁকো ছাড়া এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িও যাওয়া যায় না। ভারী মালামাল আনা-নেওয়া করতে আমাদের অনেক সমস‌্যা হয়।’

উপজেলার কেয়াইন ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শাহজাহান বলেন, ‘আমাদের এই গ্রামে প্রায় ৩০ টির মতো সাঁকো রয়েছে। মানুষ অনেক কষ্টে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে। বর্ষা এলেই এলাকাবাসীর খুব কষ্ট হয়ে যায়।’

কেয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আশরাফ আলী বলেন, ‘বন্যার পানিতে রাস্তা ডুবে থাকায় উপজেলার হাজীগাঁও ও কাজীশাল গ্রামে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীর। বর্ষা এলেই তাদের কষ্ট বেড়ে যায়। আগামী বর্ষার আগেই প্রয়োজন অনুযায়ী রাস্তা করা হবে।’

Share this post

scroll to top