রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করানো। তার মধ্যেই পড়ে রয়েছে গুলিবিদ্ধ দু’টি লাশ। একজন পুরুষ, অন্য জন মহিলা। বুধবার সকালে পুলিশ এই জোড়া লাশ উদ্ধার করার পরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় ভারতের রাজধানী দিল্লির সেক্টর ১৩ এলাকার রোহিণীতে। পরে তদন্তে জানা যায়, দু’জনই পেশায় চিকিৎসক। বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপড়েনেই খুন এবং আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, নিহত চিকিৎসক ওমপ্রকাশ কুকরেজা (৬৫) এবং সুদীপ্তা মুখোপাধ্যায় (৫৫) একই হাসপাতালে চাকরি করতেন। সুদীপ্তা দেবী ছিলেন হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, দু’জনের মধ্যে বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল। সুদীপ্তা দেবী ওমপ্রকাশ কুকরেজাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু ওমপ্রকাশ কুকরেজা রাজি না হওয়ার কারণে দু’জনের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। তার জেরেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ।
কিন্তু একসঙ্গে দু’জনের মৃত্যু কী ভাবে? পুলিশ জানতে পেরেছে, এ দিন সকালে একই গাড়িতে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন দু’জন। মাঝপথে সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে ঝগড়া হয় তাদের। তার পরেই রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে ওমপ্রকাশ কুকরেজা প্রথমে সুদীপ্তাদেবীকে গুলি করে খুন করেন। তার পর নিজেও গুলি করে আত্মহত্যা করেন।
যেখানে গাড়িটি দাঁড় করানো ছিল, সেখানে সাধারণত কেউ গাড়ি পার্ক করেন না। সেই কারণেই ওই গাড়িটি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তার পর কাছে যেতেই জোড়া লাশ দেখতে পান তারা। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অন্য সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ, পাশে চিরকুট
রাজধানীর শ্যামলীর একটি মেস থেকে সাইফুল ইসলাম (২৩) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ জানায়, সাইফুল শ্যামলীর ২ নম্বর সড়কের ১৪/১ নম্বর বাড়ির নিচতলায় একটি মেসে থাকতেন। বুধবার সন্ধ্যায় তার রুমমেট এসে ভেতর থেকে দরজা ছিটকিনি লাগানো দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকি করেও তার কোনো সাড়া না পাওয়ায় শেরে বাংলা নগর থানায় জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় সাইফুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনশি বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা ছিল, ‘দারিদ্র্যের কারণে পরিবারের আশা পূরণ করতে পারিনি, সে জন্য আমি মা-বাবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’