২৭১ টাকা কেটে নেয়ায় ভিসির বিরুদ্ধে দুই অধ্যাপকের মামলা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুই শিক্ষক। আপত্তি সত্ত্বেও বেতনের টাকা থেকে স্বাস্থ্যবীমা বাবদ প্রতি মাসে ২৭১ টাকা কেটে নেয়ার অভিযোগে সিলেট জজকোর্টে পৃথকভাবে দুইটি মামলা দায়ের করেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল হাই ও পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীদের আইনজীবী এ এইচ ইরশাদুল হক। দুটি মামলায় ভিসি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষ, হিসাব পরিচালক ও প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স এর এমডিকে বিবাদী করা হয়েছে। অধ্যাপক ড. আব্দুল হাইয়ের মামলার নম্বর ১৬৫/১৯ ও ড. রফিকুল ইসলামের মামলার নম্বর ১৬৬/১৯।

অধ্যাপক ড. আব্দুল হাই বলেন, কারো সম্মতি ছাড়াই বীমার মতো একটা খাতে বেতন থেকে টাকা কর্তন করে নেয়া কোনভাবেই আইনসম্মত নয়। এখন পর্যন্ত কেটে নেয়া সব টাকা ফেরত চেয়েও মামলায় আবেদন করা হয়েছে। অপর মামলার বাদী ড. রফিকুল ইসলাম জানান, বীমায় অন্তর্ভুক্তির জন্য যে ফরম দেয়া হয়েছিল তা পূরণ না করা সত্ত্বেও একরকম জোর করে বীমার টাকা নিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিলেও কোন কাজ হয়নি।

মামলার ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘মামলার ব্যাপারে আমরা ওয়াকিবহাল নই। লোকমূখে শুনেছি তবে এখনো কোন কাগজপত্র পাইনি। পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বীমার ব্যাপারে তিনি বলেন, এরকম স্বাস্থ্যবীমা শিক্ষকদের বহু দিনের দাবি। এ ব্যাপারে সিন্ডিকেটেরও নির্দেশনা ছিল। তবে মামলার বাদীদের বিষয়টি পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় তুলা যেতো। কিন্তু তার আগেই তারা কোর্টে চলে গেলেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে একাধিকবার কল ও এসএমএস করা হলেও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী কিস্তির অর্ধেক টাকা পরিশোধ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে বাকি অর্ধেক পরিশোধ করবেন শিক্ষকেরা। বিনিময়ে শিক্ষক কর্মকর্তাদের চিকিতসা ব্যয় বহন করবে প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top