২০৩৮ : কী হবে মোবাইল আর ইন্টারনেট পরিষেবার?

বর্তমান বিশ্বের লাইফলাইনে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। এক মুহূর্ত এর থেকে দূরে থাকার কথা যেন ভাবাই যায় না। কিন্তু কথায় হলে, সৃষ্টি হলে ধ্বংসও রয়েছে। তেমনই কি একদিন এ দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মোবাইল ও ইন্টারনেট? গবেষকরা বলছেন, হ্যাঁ। তবে বহু বছর পরে নয়। মাত্র ১৯ বছরের মধ্যেই সেই অঘটন ঘটতে পারে। যদি না ‘ইয়ার ২০৩৮ প্রবলেম’টি সমাধান করা যায়।

কী এই ২০৩৮-এর সমস্যা? উত্তর পেতে কয়েক বছর পিছনে হাঁটতে হবে। ২০০০ সালে অদ্ভুত এক সমস্যায় পড়েছিলেন ইঞ্জিনিয়াররা। ১৯৫০-৬০ সালে যখন কম্পিউটার তৈরি হচ্ছিল, তখন বোর্ডে মেমোরি রিসোর্সের মাত্রা কম ছিল। তাই বছর উল্লেখ করার ক্ষেত্রে চার অঙ্কের পরিবর্তে দুটি অঙ্ক ব্যবহার শুরু করেন ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু ২০০০ সালে পা রাখতেই মুশকিলে পড়তে হয়। কারণ ১ জানুয়ারি ২০০০ সালটি ছোট করে কম্পিউটার সালটি দেখায় ‘০০’। ফলে বিষয়টি বোঝা বেশ জটিল হয়ে পড়ে। অনেকেই তা ১৯০০ সাল ভেবে বসেন। সেই সমস্যা মেটাতে আসে নয়া শব্দ। Y2K। অর্থাৎ ইয়ার ২০০০। সেবারের মতো সমাধান সূত্র বের হয়ে যায়। কিন্তু ২০৩৮ সালের সমস্যাটা একটু অন্যরকম। সমস্যাটা হবে ১৯ জানুয়ারি ২০৩৮ তারিখটি নিয়ে। গবেষকদের কথায়, ৩২-বিট প্রসেসর সমস্ত সিস্টেম বসিয়ে দিতে পারে। কীভাবে?

আসলে কম্পিউটরের ক্যালেন্ডার শুরু হয়েছিল ১ জানুয়ারি ১৯৭০ সালে। কিন্তু ৩২-বিট প্রসেসর ২,১৪৭,৪৮৩,৬৪৭ পর্যন্ত গুণতে সক্ষম। তাই ২০৩৮ সালের ১৯ জানুয়ারি ইউনিভার্সাল টাইম ০৩:১৪:০৭ টায় ওই প্রসেসরটি নিজের সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যাবে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, তখন কী হবে? সমস্ত কম্পিউটর ও মোবাইল কি বিকল হয়ে যাবে? অনেকে আবার বলছেন, সম্পূর্ণ চাপটা পড়বে ইন্টারনেট পরিষেবার উপর। ইন্টারনেট কাজ করা বন্ধ করবে।

তবে এখনই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। গবেষকরা বলছেন, হাতে এখনও অনেক সময়। এর মধ্যে একাধিক সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব। সবচেয়ে সহজ উপায় হল, ৩২ বিট সিস্টেমটি আপগ্রেড করে ৬৪-বিট করে নেয়া। তাহলেই কেল্লা ফতে। এবার দেখার সব পরিষেবা সঠিক রাখতে কোন পদ্ধতি বেছে নেন গবেষকরা।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top