হজ নিয়ে বৈঠক বুধবার, যে সব বিষয়ে আলোচনা হবে

করোনার কারণে চলতি বছর কোনো দেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়ে হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখেনি দশটির সরকার। এর ফলে এবার আর হজে যেতে পারছেন না বাংলাদেশের কোনো হজযাত্রী। এ বিষয়ে জরুরি সিদ্ধান্ত জরুরি সভা ডেকেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে অনলাইনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

অনলাইনে অনুষ্ঠিতব্য সভায় অংশ নেবেন ধর্মসচিব মো. নূরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (হজ) এবিএম আমিন উল্যাহ নূরী, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিমসহ বিমান মন্ত্রণালয়সহ হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা।

ধর্মসচিব মো. নূরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ‘হজ নিয়ে সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে সবাই জেনেছে। এ বিষয়ে আমরা কাল মিটিং ডেকেছি। সেখানে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো।’

সংশ্লিষ্ট-সূত্রে জানা গেছে, এবার হজে যাওয়ার জন্য চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছিলেন ৬৫ হাজার ৫১২জন। সৌদি সিদ্ধান্তের পর নিবন্ধকারীদের যে কেউ চাইলে টাকা ফেরত নিতে পারবেন। তবে, তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। পরের বছর নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর যারা টাকা ফেরত নেবেন না, তারা পরের বছর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে যেতে পারবেন।

এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আগাম নির্দেশনা ছিল বলেও জানান হাব সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম।

সৌদি সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে হাবের সাবেক সহ-সভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘সৌদি সিদ্ধান্তে হজযাত্রীরা হতাশ। এজেন্সি মালিকরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। করোনায় সবকিছু বন্ধ থাকার কারণে এমনিতে আমাদের সবার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ।’ তিনি আরও বলেন, ‘হজযাত্রী ও এজেন্সিগুলোর ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে সরকার এখন কী সিদ্ধান্ত জানায়, তার অপেক্ষায় আছি।’

এর আগে, সোমবার (২২ জুন) সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনা জারি করে। তাতে বলা হয়েছে, করোনার কারণে এ বছর সীমিত আকারে হজ অনুষ্ঠিত হবে। শুধু সৌদি আরবের নাগরিক ও দেশটিতে বসবাসকারী বিদেশিরা অংশ নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালন করেন। বাংলাদেশ থেকে এই বছর এক লাখ ৩৭ হাজার হজ যাত্রী যাওয়ার কথা ছিল। হজে যেতে ইচ্ছুক ৬৫ হাজার ৫১২জন নিবন্ধন করেন। সৌদি সরকারের সীমিত আকারে হজ আয়োজনের সিদ্ধান্তের কারণে, তাদের কেউ এবার হজে যেতে পারছেন না।

Share this post

scroll to top