স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

শারীরিক অবস্থার ফলোআপ করাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান। এর আগে, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হন তিনি। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. আল মামুনসহ অনেকে হাসপাতালে এসেছেন।

বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়া বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে বের হয়েছেন।

এদিকে দুপুর থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতালের চারপাশে জড়ো হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ভিড় সামলাতে হাসপাতালের ভেতর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে বিএনপি প্রধানের চিকিৎসা কার্যক্রমে যুক্ত একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, শারীরিকভাবে সব অসুখই ঘুরে-ফিরে আসছে খালেদা জিয়ার। থেমে থেমে জ্বরও আসছে বেশ কিছু দিন। এছাড়া পুরনো অসুখগুলোও সেরে উঠেনি। এ কারণেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে এভারকেয়ারে এসেছেন খালেদা জিয়া।

সূত্র জানায়, সব চেকআপ করাই এখন প্রাথমিক লক্ষ্য চিকিৎসকদের। এরপর পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো লাগবে কিনা। তবে সূত্রের ভাষ্য, খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হতে অনাগ্রহী হওয়ায় এখনই তাকে ভর্তি করানো হবে কিনা তা বলা সম্ভব নয়।

এর আগে, এ বছরের ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ারে ভর্তির পর চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন রাতে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। গত ১৮ আগস্ট মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেন তিনি। গত ১৯ জুলাই এই হাসপাতালে টিকার প্রথম ডোজ নেন খালেদা জিয়া।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা (কারাদণ্ড) হয় খালেদা জিয়ার। পরে উচ্চ আদালতে আরও পাঁচ বছর সাজা বাড়ে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বরে চতুর্থ দফায় বেগম জিয়ার মুক্তির সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Share this post

scroll to top