স্বামীর ২য় বিয়ের খবর শুনে শরীরে আগুন লাগিয়ে পুড়লো সেই হতবাগী

স্বামীর প্রথম বিয়ের খবর শুনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৩৩ দিন বয়সী সন্তান রেখে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম আদুরী বেগম (২১)।

দীর্ঘ ১৩ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর শনিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে তার মৃত্যু হয়।

আদুরী বেগম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামধন গ্রামের মিজানুর রহমান মিজানের (২৮) দ্বিতীয় স্ত্রী। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বছরখানেক আগে ভালোবেসে আদুরীকে বিয়ে করেন মিজান। সেই সময় তিনি প্রথম স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তানের কথা গোপন রাখেন। এরই মধ্যে আদুরীর এক ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়িতে ছিলেন আদুরী।

বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে আসতে স্বামীকে চাপ দেন আদুরী। কিন্তু নানা টালবাহানা করে স্ত্রীকে বাড়ি নিতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন মিজান। ১০ দিন আগে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় স্বামী মিজানের ফুফা আইনুল হকের বাড়িতে আসেন আদুরী। বাড়িতে আসার পর থেকে স্বামীর সঙ্গে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। পরে প্রতিবেশীরা উভয়কে শান্ত করেন।

কিন্তু বাগবিতণ্ডার জের ধরে রাতেই রাগে-ক্ষোভে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন আদুরী।

গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় স্বজনরা আদুরীকে উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে পর দিন দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি এসএম আবদুস সোবহান জানান, দীর্ঘ ১৩ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মিজানের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

Share this post

scroll to top