স্পিডবোটের নিবন্ধন ছিল না, নেই চালকের দক্ষতা সনদও

করোনার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত স্পিডবোটের নিবন্ধন ছিল না।

শিমুলিয়ার নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ওই স্পিডবোটের নিবন্ধন ছিল না। স্পিডবোটের চালক শাহ আলমের ছিল না দক্ষতা সনদও।’ এই নৌরুটের বেশির ভাগ নৌযানের একই অবস্থা বলেও তিনি জানান।

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার গণপরিবহন চলাচলেরও ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বন্ধ থাকার কথা নৌ যান চলাচল। কিন্তু এর মধ‌্যেই মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২৬ জন। ১০ থেকে ১৫ জন যাত্রী বহনের ক্ষমতা থাকলেও স্পিডবোট দুর্ঘটনায় কীভাবে এতো জনের প্রাণ হারালো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে এই দায় এড়াতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ঘাট বন্ধের মধ্যে ওই স্পিডবোট চলা আটকানোর দায়িত্ব ছিল নৌ পুলিশের। নৌপুলিশ দায়ি করছে বিআইডব্লিউটিএকে।

মঙ্গলবার (৪ মে) সকালে বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, ‘লকডাউনের সময় মূলত এটা বন্ধ ছিল। ঘাট থেকে নয়, চর থেকে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী তোলে স্পিডবোটটি। এ কারণে এটা আমাদের নজরে ছিল না। আগামীতে এ বিষয়টি নজরে রাখবো।’

মাওয়া খাটের নৌ পুলিশের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এই ধরনের যান চলাচল করবে কি না সেই সিদ্ধান্ত বিআইডব্লিউটিএ’র । আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখাশোনা করি।’

এদিকে, এই নৌ দুর্ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এছাড়া, ৬ সদস‌্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক। তদন্তে যাদের গাফিলতি পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার (৩ মে) মধ‌্য রাতে শিবচর থানায় নৌ পুলিশ বাদী হয়ে স্পিডবোটের মালিক-চালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় চালক শাহ আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Share this post

scroll to top