সৌদি আরব থেকে ফিরলেন আরো ১০৫ বাংলাদেশী

সৌদি আরব থেকে আরো ১০৫ বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি থেকে চলতি মাসেই দেশে ফিরলেন ৪৪১ কর্মী।

মঙ্গলবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটে ৪২ জন ও রাত ১টা ১৫ মিনিটে দ্বিতীয় ফ্লাইটে ৬৩ জন দেশে ফিরেন।

অন্য দিনের মতো এবারের ফেরত আসা কর্মীদের বিমানবন্দরেরর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচি থেকে খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।

ফেরত আসাদের একজন পিরোজপুরের শামীম দাবি করেন, মাত্র দেড় মাস আগে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। কিন্তু আকামা (কাজের অনুমতি) থাকা সত্ত্বেও তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

আরেক কর্মী মুন্সিগঞ্জের মহিউদ্দিন জানান, গত ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে ছিলেন। আকামাসহ বৈধভাবেই ছিলেন। দুদিন আগে এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাবার পথে সৌদি ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। আকামা থাকার পরও আটকের কারণ জানতে চাইলে তাকে মারধর করা হয় বলেও জানান তিনি।

শামীম ও মহিউদ্দিনের মতোই নিজেদের দুর্ভোগের কথা জানান নোয়াখালীর সাইফুল, কুমিল্লার রাজু, ঢাকার রাসেলসহ আরো অনেকেই। দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, তাদের আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের ধরে সবজি, খেজুর ও পানি বিক্রিসহ ভিক্ষা করার মতো মিথ্যা অভিযোগ এনে দেশে পাঠানো হচ্ছে।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি মাসেই দেশে ফিরলেন ৪৪১ কর্মী। এ বছর ১০ থেকে ১১ হাজার কর্মী সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সাধারণ ‘ফ্রি’ ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করলে কর্মীদের ফেরত পাঠানো হতো। কিন্তু এবার ফেরত আসা কর্মীদের অনেকেই বলছেন, তাদের বৈধ আকামা ছিলো। আসলেই এমনটা হয়েছে কী না সেটা দূতাবাস ও মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কেন বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে সেই কারণটা বের করে করণীয় ঠিক করা উচিত যাতে নতুন করে যারা যেতে চাইছেন তারা বিপদে না পড়েন।
সূত্র : ইউএনবি

Share this post

scroll to top