সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির অ্যান্টিবডিই করোনা প্রতিরোধের সেরা ওষুধ!

আশার আলো! করোনার থাবা রুখতে আলাদিনের সেই আশ্চর্য প্রদীপের সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করছেন ডাক্তাররা। কোভিড-১৯এর চিকিৎসার নতুন এক পদ্ধতিকে ঘিরেই জল্পনা। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইয়ান লিপকিনের দাবি, মারণ এই ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্লাড-প্লাজমা থেরাপিই অত্যন্ত সহায়ক এবং রোগকে চিরতরে নির্মূল অবধি করতে সক্ষম।

কী ভাবে সম্ভব? আর কী ভাবেই বা এত বড় সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন ডাক্তাররা?

করোনায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার পর তার শরীর থেকে অ্যান্ডিবডি নিয়ে ১০ জন করোনা আক্রান্তের দেহে প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে তা প্রয়োগ করা হয়। দেখা গেছে যে ওই ১০ জনের প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।

২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজের লো ববস টুনাইট শো’তে গিয়ে নিজের এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির কথা তুলে ধরেন ডাক্তার ইয়ান লিপকিন। তার কথায়, ‘যদিও এই পদ্ধতি নতুন কিছু নয়। যখন বাজারে অ্যান্টিবায়োটিক আসেইনি, তখন এই পদ্ধতির মাধ্যমেই রোগ নিরাময় করা হত। করোনার ক্ষেত্রেও এটি কাজ করল এবং ভবিষ্যতেও কাজ করবে বলে আমার আশা।’

জাদুকর এই ডাক্তার আরো জানিয়েছেন যে, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই তিনি চীনে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে এই চিকিৎসা পদ্ধতির কথা আলোকপাত করেছিলেন জিনপিংয়ের দেশে। তার বক্তব্য, সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র দেখলাম। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রোগীরা প্লাজমা-থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা করাচ্ছেন। আর এই থেরাপির মাধ্যমে তাঁরা সকলেই সুস্থ।’

লিপকিনের কথায়, ‘জানুয়ারির শেষ দিকে আমি চীনে গিয়েছিলাম। মূলত করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় চীনের ডাক্তাররা কী করছেন– মূলত তা খুঁজতেই আমার চীনে যাওয়া। এক সপ্তাহ আগে আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে একটি পেপার পাই। সেই পেপারে বলা হয়েছে, ১০ রোগীর প্লাজমা থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসার কথা।’

ডাক্তারের আরো বক্তব্য, ‘গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোনো এক ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত প্লাজমা দিয়ে মোট তিন জন রোগীর চিকিৎসা সম্ভব। এটি আদৌ রক্তদানের মতো প্রক্রিয়া নয়। এই পদ্ধতি আদতে সহজ এবং ভ্যাক্সিন না আসা পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় একটি কার্যকর সমাধান এই থেরাপি।’
সূত্র : এই সময়

Share this post

scroll to top