সুরমার পানি বিপৎসীমার ৭০ সে.মি ওপরে, ১১ উপজেলা প্লাবিত

অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এতে করে জেলার ১১টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় লাখো মানুষ।

রোববার (২৮ জুন) সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (২৯ জুন) পর্যন্ত নদ-নদীর পানি বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ৭২ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে ৪৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোববার সকাল ৯টার দিকে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এতে করে প্লাবিত হয়েছে জেলা সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার, শাল্লা, ধর্মপাশা ও জগন্নাথপুর উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন।  এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৭৮টি।  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪১০ মেট্রিকটন জিআর চাল, ২৯ লাখ ৭০ হাজার টিআর নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর, কাজীর পয়েন্ট, হাছননগর, উকিলপাড়া, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া, বড়পাড়াসহ পুরো শহরে সড়কে হাঁটু পানির ওপরে। ব্যাহত হচ্ছে চলাচলও। তবে অধিকাংশ বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকেছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানান, ভারতের মেঘালয়-চেরাপুঞ্জিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সোমবারের পর থেকে সুনামগঞ্জের পানি কমার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জে ১১ উপজেলা। শহরের অনেক এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। আমরা প্রতিটি উপজেলাসহ প্লাবিত এলাকার মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাচ্ছি। প্লাবিত এলাকার মানুষজনের শুকনো খাবারেরও ব্যবস্থা করেছি। বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

Share this post

scroll to top