সুখবর : ময়মনসিংহে শীঘ্রই হচ্ছে ক্রিকেট স্টেডিয়াম

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, সঙ্গে মাঝেমধ্যে সিলেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম- যেকোনো টুর্নামেন্ট বা সিরিজের ক্ষেত্রে সব ম্যাচ হয় এ তিন মাঠেই। যার সিংহভাগই আবার আয়োজন করতে হয় মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামকে।

চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএল যার জ্বলজ্বলে উদাহরণ। পুরো টুর্নামেন্টে ম্যাচের সংখ্যা ৪৬টি। এর মধ্যে জহুর আহমেদে ১২ ও সিলেটে ৬টি বাদ দিয়ে ২৮ ম্যাচই হচ্ছে মিরপুরের শেরে বাংলায়। শুধু বিপিএলই নয়। যেকোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ, এমনকি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের বেলায়ও শেরে বাংলায় হয়ে থাকে বেশিরভাগ ম্যাচ।

এত বেশি খেলার চাপে প্রায়ই শোনা যায়, উইকেট প্রস্তুত করতে যথেষ্ঠ সময় পান না কিউরেটর। যার ফলে চট্টগ্রাম বা সিলেটের মতো রানের দেখা মেলে না দেশের হোম অব ক্রিকেটে। প্রায় নিয়মিতই অসন্তোষ দেখা যায় শেরে বাংলার আউটফিল্ডের ঘাষ নিয়েও।

এবার তাই দেশের হোম অব ক্রিকেটের ওপর থেকে চাপ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিসিবি। যেহেতু দেশে সেই মানের মাঠ কম, তাই মাঠ বাড়ানোর মাধ্যমে শেরে বাংলায় হওয়া ম্যাচগুলো ভাগ করে দিতে চায় বিসিবি।

গতকাল রোববার বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে বার্ষিক সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমাদের জন্য বড় সঙ্কট মাঠ। এই সঙ্কট এত বেশি যে ঢাকা শহরে খেলার জায়গাই নেই আমাদের। কিছু হলে এই স্টেডিয়ামের (শেরে বাংলা স্টেডিয়াম) ওপর বেশি চাপ পড়ছে। এজন্যই আমরা কাজ শুরু করেছিলাম (মাঠ খোঁজার)।’

এসময় তিনি শেরে বাংলার ওপর চাপ কমানোর জন্য সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ এবং কেরানীগঞ্জের মাঠের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে তাদের ৮টি মাঠের মধ্যে ২টি নিয়ে নিচ্ছে বিসিবি।

পাপন বলেন, ‘সিলেট স্টেডিয়ামে (আউটার) বেশ কিছু কাজ হচ্ছে। সেটা শেষ হলে প্রথম শ্রেণিসহ অনেক খেলা চালাতে পারব। বরিশাল স্টেডিয়ামে সম্প্রতি আমরা একটি সিরিজ করেছি। ওখানে আরও উন্নয়ন করে খেলা আয়োজন করব। ময়মনসিংহে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। তাদের ৮টি মাঠের ২টি আমরা নিয়ে নিচ্ছি। ওখানে কাজ করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটসহ আরও খেলা চালানো হবে। কেরানীগঞ্জে একটি মাঠ আমরা তৈরি করেছি, সেটায় আরও উন্নয়ন করে খেলা আয়োজন করব।’

Share this post

scroll to top