করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বের যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, ঠিক সেই সময় চীন-ভারত, ভারত-নেপাল সীমান্ত উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এক কথায় চীন ভারতকে যেন যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। অপরদিকে সুযোগ পেয়ে ক্ষুদ্র দেশ নেপালও ভারতকে ছেড়ে কথা বলছে না।
ভারতের উত্তরখন্ড প্রদেশের কালাপানি অঞ্চল নিয়ে নেপালের সঙ্গে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে। তবে ভারত নিয়ন্ত্রিত ও চীন লাগোয় এই অঞ্চলটি প্রথমবারের মতো নেপাল তাদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এর আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এ মাসেই লিপুলেখের কালাপানি হিসেবে পরিচিত হিমালয় বর্ডারে ভারতকে চীনের সাথে সংযুক্ত করে এমন একটি রাস্তা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।
পুরোনো এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে তিব্বতের পবিত্র অঞ্চল কৈলাশ মানসরোভার ভারতীয় ভ্রমণকারী হিন্দু তীর্থযাত্রীরা ব্যবহার করে আসছিলেন।
এদিকে নেপালের মানচিত্রে একতরফা এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে নয়া দিল্লি। সেইসঙ্গে জানানো হয়, আঞ্চলিক এই দাবি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
সম্প্রতি ভারতের লাদাখ অঞ্চলে চীন সামরিক প্রস্তুতি বাড়ালে নড়েচড়ে বসে ভারতও। তবে নেপালের এমন কর্মকাণ্ডের পর চীনের দিকে ইঙ্গিত করে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান মনোজ নারাভানে কড়া ভাষায় জানান, নেপাল কারও ইন্ধনেই এমনটি করছে। যেখানে নেপালের বর্তমান সমাজতান্ত্রিক সরকার প্রধান কেপি শর্মা অলির সঙ্গে চীনের ভালো সম্পর্কের কথা সবার জানা।
এদিকে মঙ্গলবার (২৬ মে) চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশের সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যেকোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। দেশকে সুরক্ষা দিতে সবরকমভাবে প্রস্তুতি থাকা চাই। আর এ কথা তিনি তখনই বললেন, যখন ভারত সীমান্তে উত্তেজনা চলছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, অন্তত ১০০ তাঁবু বানিয়ে লাদাখের কাছে ঘাঁটি বসিয়েছে চীনা সেনাবাহিনী।
এমন অবস্থায় মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এছাড়াও ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতও অংশ নেন বৈঠকে।