সিসিটিভির ফুটেজ সরিয়ে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা ভিপি নুরের

ডাকসু ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের তাণ্ডবের ভিডিও ফুটেজ সরিয়ে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।

হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুর দৈনিক যুগান্তরকে দেয়া সাক্ষাতকারে এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, আজকের তাণ্ডবের ঘটনার ডাকসুর সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে। সেগুলো সরিয়ে ফেলতে পারে।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

নুর বলেন, সনজিত নিজেও আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। হামলার ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ডাকসু ভিপি বলেন, আমরা ২০/২৫ জন ডাকসুতে ঢোকামাত্রই ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। পরে আমার সঙ্গে যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা চলে যায়।

‘এরপর সনজিত ও সাদ্দামসহ ডাকসুর ঐতিহ্য, ছাত্রলীগ নেতা মামুন বিন সাত্তার আমার রুমে আসে। সনজিত এবং সাদ্দাম আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে।’

ডাকসু ভিপি বলেন, তারপর আমার সঙ্গে যারা ছিল, তাদের প্রত্যেককে ধরে ধরে রুম থেকে টেনে নিয়ে মারধর করে। সোহেলকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়।

‘প্রথমে ওরা যখন দেখেছিল, আমরা ওইভাবে আক্রান্ত হয়নি, তখন দ্বিতীয়বার আমার রুমে এসে লাইট-ফ্যান বন্ধ করে রড, লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায়।’

তিনি বলেন, আমরা ছোটভাই আমাকে টেবিলের নিচে ঢুকিয়ে রাখায়, আমি বেশি আক্রান্ত হয়নি, কিন্তু বাঁ পাশটি বাইরে থাকায়… রড ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে ওরা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী শেখ তুনান ছিল, মহসিন হলের জিএস ছাত্রলীগের মিজান, মুক্তিমঞ্চের লোকজন তো ছিলই।

এসময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। নুর বলেন, এর আগেও আমরা অসংখ্যবার হামলার শিকার হয়েছি। তারা আমার প্রতি হামলা করছে, যাতে আমরা থেমে যাই।

তিনি আরও বলেন, এভাবে প্রতিনিয়ত হামলা-মামলার মধ্যে আমরা বাঁচবো কিনা জানি না।

Share this post

scroll to top