সিইসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

আদালতের আদেশ অমান্য করে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পূণর্বহাল না করা এবং দলটির প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সহ পাঁচ কমিশনার এবং কমিশন সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চএ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর আদালতের আদেশ অমান্য করে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পূর্ণবহাল না করা এবং দলটির প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ সকল কমিশনারের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি, সেক্রেটারী এবং প্রার্থীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই নোটিশ প্রেরণ করেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা ছাড়াও যাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, মাহবুব তালুকদার, মো: রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

গত ১৬ অক্টোবর ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওই দিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি ড. কাজী ফারুক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ওই আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু ওই নিবন্ধন বাতিল করে গত ৪ অক্টোবর চিঠি পাঠায় ইসি। ইসির এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেন এবং রুল জারি করেন হাইকোর্ট। কিন্তু আদালতের সে আদেশ বাস্তবায়ন না করায় নির্বাচন কমিশনারদের আইনী নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতের নির্দেশণা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আদালত অবমাননার দায়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিলো।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top