সামাজিক অবক্ষয়ের নতুন নাম ‘টিকটক’

আল-আমিন রাজু : ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করতে দেখা গেছে যা দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং নিজেদের আনন্দ প্রকাশ করে থাকে।

বর্তমান সময় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এমন একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ‘টিকটক’। যা দিয়ে ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গান এবং নাটক, চলচ্চিত্র বা কোন ব্যাক্তির প্রকাশিত কথপোকথনের সাথে মিল রেখে অ্যাপস ব্যবহারকারীরা মুখ বা অঙ্গভঙ্গি মিলান।

সম্প্রতি এর ব্যবহার অতিমাত্রায় পৌঁছে যাচ্ছে, টিকটক ব্যবহারকারীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির সমালোচিত বক্তব্য বা অঙ্গ ভঙ্গিও ব্যবহার করছেন। আবার এর চেয়েও ভয়ংঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে টিকটক ব্যবহারকরীদের হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না ইসলাম ধর্মও। তারা নামাজ, ইসলামি মজলিশ বা ওয়াজে ব্যবহৃত বিভিন্ন বক্তার দেওয়া ভাসন ব্যবহার করছেন। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষন, এমন কি জাতীয় সংসদ ভবনে দেওয়া বিভিন্ন সংসদ সদস্যের ভাষণগুলোও বিকৃতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার বিভিন্ন গান, নাটক কৌতুকের সাথে তারা মুখমিলিয়ে ভিডিও প্রকাশ করছেন যাতে দেখা যায় কিশোর/কিশোরীদের অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি। এমন কি তাদের ভিডিওতে মুখের ভাষারও বিকৃতি করতে দেখা গেছে। বাদ যাচ্ছে না বিতর্কিত ভাষণ, অশ্লীল গান বা ঢালিউডের বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের অশ্লীল ডায়লোগ। এসব ভিডিও করার ক্ষেত্রে কিশোর কিশোরীদের পাশাপাশি আছেন বিভিন্ন শ্রেনি পেশার সাথে যুক্ত মানুষেরা। এমন কি বাদ যাচ্ছে না বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। একজন জনপ্রিয় অভিনেতার ভিডিওতে দেখা যায় সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ক্রিকেটার নাসির হোসেনের কথিত প্রেমিকার ফেসবুকে লাইভে প্রকাশিত অশ্লীল কথোপকথনে টিকটক ব্যবহার করে মুখ মিলিযে তিনি সেই ভিডিও ফেসবুক এবং ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন। তার সাথে আছে কিছু দিন আগে আলোচিত হওয়া এক মডেলও। তাদের মধ্যে আরও রয়েছেন দেশের নাম করা কয়েকজন ইউটিউবারও। আর এসব অশ্লীল ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ গুগলের ভিডিও সাইট ইউটিউবেও। এসব ভিডিওর ফলে কম বয়সের কিশোর-কিশোরীরা অতিমাত্রায় ইন্টারনেট আসক্তি হয়ে পড়ছে। যার ফলে তাদের মানসিক সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top