সাংবাদিক-অ্যাক্টিভিস্ট নিপীড়নকারীদের ভিসা দেবেনা যুক্তরাষ্ট্র

dept. state USAসাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্টসহ যারা তাদের লেখা-কাজের জন্য দেশ ছাড়তে বাধ্য হবেন, কোনো দেশের সরকারের হয়ে তাদের নির্যাতন, ক্ষয়ক্ষতি বা হুমকি দিলে সেই সব ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় সৌদি আরবের যুবরাজ সালমান বিন মোহাম্মদের অনুমোদন ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর এই ঘোষণা এলো।

যুক্তরাষ্ট্রের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী টনি ব্লিনকেন শুক্রবার এক বিবৃতিতে ‘খাশোগি ব্যান’ নামের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেবল যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তারাই নন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও এই বিধিনিষেধের প্রয়োগ দেখা যেতে পারে।

এই নিয়মের আওতায় খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িতসহ বিদেশে নির্বাসিতদের হুমকিদাতা হিসেবে চিহ্নিত সৌদি আরবের ৭৬ জনের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টনি ব্লিনকেন।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেখানে কোনো দেশের বাইরে গিয়ে সে দেশের সরকারের পক্ষে এমন কর্মকাণ্ড কেউ পরিচালনা করলে সেগুলো তুলে আনতে নির্দেশ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন ব্লিনকেন।

কোনো সরকার শুধু মৌলিক স্বাধীনতা চর্চার জন্য দেশের মধ্যে বা বাইরে কাউকে ‘টার্গেট’ করলে সেই সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজ অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে শুক্রবার মধ্যরাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাইডেন প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে আটক বা হত্যা করতে ইস্তাম্বুলে একটি অভিযান অনুমোদন করেছিলেন।’

তবে খাশোগিকে হত্যার সঙ্গে সৌদি যুবরাজ জড়িত নেই বলে দাবি করেছে সৌদি আরব। খাশোগিকে হত্যায় সৌদি যুবরাজকে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘মিথ্যা’ বলা হয়েছে।

Share this post

scroll to top