সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করলেন মুরাদ

লক্ষ্য ছিল ২১৮। চতুর্থ দিন ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে মধ্যাঞ্চল। বৃহস্পতিবার পঞ্চম ও শেষ দিনে ৬৮ রান তুলতেই নেই ৬ উইকেট। বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল আরেকটি উইকেট নিলেই মধ্যাঞ্চলের স্বীকৃত ব্যাটার থাকতেন মাত্র একজন। কিন্তু শেষ উইকেটই নিতে পারেনি দক্ষিণাঞ্চল।

ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করে জয়ের নায়ক মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক শুভাগত হোম। প্রথম ইনিংসে ১১৬। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৪*। বিসিএলের লংগার ভার্সনে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো মধ্যাঞ্চল।

এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও সতীর্থ মোহাম্মদ মিঠুনকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি শুভাগত। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান এসেছে জাতীয় দলের এই তারকা ব্যাটারের ব্যাট থেকে। মিঠুনের রান সংখ্যা ৪৬৮, আর শুভাগতের ৪০০।

তবে বোলিংয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন মধ্যাঞ্চলের স্পিনার। গোটা টুর্নামেন্টে হাসান মুরাদ ছিলেন দুর্দান্ত। ২২ উইকেট নিয়েছেন মুরাদ। পেছনে ফেলেছেন জাতীয় দলের অন্যতম সেরা তারকা স্পিনার নাসুম আহমেদকে।

দক্ষিণাঞ্চলের এ বাঁহাতি স্পিনার ১৮ উইকেট নিয়ে হয়েছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। মাত্র ২ উইকেট কম পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন সানজামুল ইসলাম।

ওয়ালটন সেন্ট্রালের বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ ৪ ম্যাচে ১৯.৪৫ গড়ে পেয়েছেন ২২ উইকেট। ৪ ম্যাচে দুবারই ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি। সেরা বোলিং ৬ উইকেটে ৭৪। তিনটি পুরস্কারের জন্য প্রাইজমানি ১ লাখ টাকা করে।

চ্যাম্পিয়ন হলেও মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল দিনের শুরুটা মধ্যাঞ্চলের হয়েছিল খুবই বাজে। এর আগে শিরোপা জয়ের পথে দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মিঠুনকে সাত রানে হারায় মধ্যঞ্চল।

পঞ্চম দিনে দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন সৌম্য সরকার। উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করা সালমান হোসেনকে ফেরান কামরুল ইসলাম রাব্বি। পঞ্চম দিনেও দারুণ ব্যাটিং করেন শুভাগত। জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচসেরা তিনিই।

পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চলকে হারিয়ে শিরোপা জয়ে বড় অবদান শুভাগতরই। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১২১ বলে ২ ছক্কা ও ১৩ চারে করেছেন ১১৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। ১২৪ বলে ৫ চারে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তার সঙ্গী জাকের।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি শুভাগতর ১৬তম সেঞ্চুরি। এবার বিসিএলে তৃতীয়। একটি ডাবলসহ দুই সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরিতে লিগে ৪৬৮ রান করা মোহাম্মদ মিঠুন ও জাকির হাসান হয়েছেন সিরিজসেরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস ৩৮৭।

মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস ৪৩৮।

দক্ষিণাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস ২৬৮।

মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস ২২১/৬

(সালমান হোসেন ৩৭ শুভাগত হোম ১১৪* জাকের আলী ৪১*।

মেহেদী হাসান রান ২/৫০, নাসুম আহমেদ ২/৪৩)।

ফল : মধ্যাঞ্চল ৪ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ

শুভাগত হোম (মধ্যাঞ্চল)

ম্যান অব দ্য সিরিজ

মোহাম্মদ মিঠুন (মধ্যাঞ্চল) ও জাকির হাসান (দক্ষিণাঞ্চল)।

Share this post

scroll to top