সকল বিলুপ্তপ্রায় মাছকে পর্যায়ক্রমে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনা হবে : বিএফআরআই

BFRIদেশের বিলুপ্তপ্রায় সকল মাছকে পর্যায়ক্রমে প্রজনন ও চাষের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।

শুক্রবার বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ময়মনসিংহস্থ স্বাদুপানি গবেষণা কেন্দ্রের ২০১৯-২০ অর্থবছরে চলমান গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। সভায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিবসহ মৎস্য বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও খামারিগণ উপস্থিত ছিলেন।

মহাপরিচালক বলেন, দেশে এখন বিলুপ্তপ্রায় মাছের সংখ্যা ৬৪টি। পরিবেশ দূষণ ও অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয় সংকোচিত হওয়ায় দেশীয় মাছের প্রজনন ও বিচরণ ক্ষেত্র অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট সাম্প্রতিককালে গবেষণা জোরদার করেছে। ইনস্টিটিউট হতে ইতোমধ্যে পাবদা, গুলসা, টেংরা, মেনি, বৈরালি, বাটা, চিতল, মহাশোল, ফলি, গুতুম, খলিসাসহ ২৩ প্রজাতি মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে। ফলে এসব মাছের  প্রাপ্যতা সাম্প্রতিককালে শহর ও গ্রামের বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মূল্য ভোক্তাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, ময়মনসিংহস্থ স্বাদুপানি গবেষণা কেন্দ্র ছাড়াও বগুড়ার সান্তাহার, নীলফামারির সৈয়দপুর ও যশোর উপকেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় মাছ ঢেলা, গজার, শালবাইম, কাকিলা ও আঙ্গুস এবং উপকূলীয় চিত্রা, দাতিনা ও কাওন মাছ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। দেশের অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ যেমন শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া, কুচিয়া, সীউইড প্রভৃতি প্রজাতি নিয়েও গবেষণা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।#

Share this post

scroll to top