সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের যেসব নেতা অংশ নিতে পারেন

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপের জন্য আগামী ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় যান আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।

এর আগে গত রোববার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমমন্ত্রীর কাছে ৭ দফা দাবি সংবলিত চিঠি পাঠায় যেখানে জোটের সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানানো হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসতে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপের দিনক্ষণ জানিয়ে দেয়া হয়।

১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সাথে গণভবনে সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ নেতা অংশ নিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এই সংলাপে আরো থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোঃ মনসুর, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোঃ ইব্রাহিম সহ আরো বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা এই সংলাপে অংশ নিতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

তবে আওয়ামীলীগ থেকে যদি কোন নেতার বিরুদ্ধে আপত্তি করা হয় সেক্ষেত্রে হয়তো নেতাদের তালিকা পরিবর্তন হতে পারে। আওয়ামীলীগ উদার মনোভাব নিয়ে সংলাপ করবে বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি গোলাপকে ড. কামাল হোসেনের কাছে সংলাপের চিঠি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্টের নেতারা কতজন আসবেন এবং সংলাপের পাশাপাশি কী কী খাবেন সেই মেন্যুও জানতে চাওয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয়ে অন্য মন্ত্রিদের মতামত জানতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত দেন প্রধানমন্ত্রী।

আর তারও আগে গত রোববার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরাবর চিঠি দেন ড. কামাল হোসেন। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর সংসদে গিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুকে ফোন করে সংলাপের বিষয়ে আওয়ামীলীগ আগ্রহী বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top