‘সংবিধানে আদিবাসী স্বীকৃতি এবং অন্তর্ভুক্তির দাবি’

Adivasi Dibosআদিবাসীর পরিবর্তে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নামকরণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তাদের অধিকার ও অস্তিত্বকে পরোক্ষভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। তাই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও অস্তিত্বকে রক্ষার নিমিত্তে বাংলাদেশ সংবিধানে আদিবাসী স্বীকৃতি এবং অন্তর্ভুক্তির জন্য দাবি জানিয়েছেন।

রবিবার সকাল ১১টায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অর্নিবান সংঘে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আদিবাসী নেতারা এ দাবি জানান।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২০ উপলক্ষে ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখা এ সংবাদ সম্মেলন করে। এতে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার জেনারেল সেক্রেটারী মি. অসীম ¤্রং।

লিখিত মূল বক্তব্যে মি. অসীম ¤্রং বলেন, বর্তমান সরকার আদিবাসী বান্ধব সরকার। এ দেশের আদিবাসীদের জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আইন ২০১০ প্রনয়ণ করেছেন। তাছাড়া বর্তমান সরকার বাংলাদেশের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে অবহেলা করা হয়েছে এবং তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি। তাই বাংলাদেশ সংবিধানে আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, মহান জাতীয় সংসদে ৫% অর্থ্যাৎ ১৫টি সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ দিতে হবে, পৃথক মন্ত্রালয় গঠনসহ ১১টি দাবি জানিয়েছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার চেয়ারম্যান মি. নবেশ খকশি, চাসংগিত্তাল ক্লাব মরিয়মনগরের সাধারন সম্পাদক রনু নকরেক, মরিয়মনগর ওয়াইএমসিএর সাধারন সম্পাদক হেমার্শন চিরান, তোচ কালচারাল এন্ড ডেভোলপম্যান্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি যুগল কিশোর কোচ, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন(বাগাছাস) ঝিনাইগাতীর সভাপতি অনিক চিরান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন আদিবাসী নেতারা।

Share this post

scroll to top