সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে : সংসদে তথ্যমন্ত্রী

বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে কোনোরকম হস্তক্ষেপ করছে না।

সোমবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রচার ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নীতিমালা ইতিমধ্যে প্রণীত হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশনের জন্য এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯৭টি আবেদন পড়েছে। আবেদনপত্রসমূহ যাচাই-বাছাই করে তালিকাসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

মোহাম্মদ আফজাল হোসেনের (কিশোরগঞ্জ-৫) প্রশ্নের জবাবে হাসান মাহমুদ আরো বলেন, সরকার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। গণমাধ্যম সরকারের সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত তথ্য অধিকার আইন বলবৎ রয়েছে এবং জনগণ এর সুফল ভোগ করছেন। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকবান্ধব বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে কোনোরকম হস্তক্ষেপ করছে না এবং এ সেক্টরের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার উন্নয়নের জন্য আলাদাভাবে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়াও নবম ওয়েজ বোর্ডের ঘোষণা করা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্তকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

বিদেশী অপসংস্কৃতির আগ্রাসন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে 
মশিউর রহমান রাঙ্গার (রংপুর-১) প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আকাশ-সংস্কৃতির বর্তমান যুগে বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অবারিত সুযোগ রয়েছে। অপসংস্কৃতির আগ্রাসনরোধে রাষ্ট্রীয় তিনটি টিভি চ্যানেলসহ বেসরকারি প্রায় ৩০টির বেশি চ্যানেলে বাঙালি সংস্কৃতির নানা অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী বিদেশী অপসংস্কৃতির আগ্রাসন রোধকল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সরকারি প্রিন্ট মিডিয়া একটি, বেসরকারি ৩১৬৪টি 
মো: শামসুল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি প্রিন্ট মিডিয়ার সংখ্যা ৩১৬৫টি (ডিসেম্বর ২০১৯)। এর মধ্যে সরকারি প্রিন্ট মিডিয়ার সংখ্যা একটি। সেটি হলো রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘বার্তা’ যেটি একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত। বেসরকারি মিডিয়ার সংখ্যা ৩১৬৪টি। এর মধ্যে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা ৫২০টি। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ৩৫৮টি, পাক্ষিক ১৪৯টি ও মাসিক ২৭৬টি।

মন্ত্রী আরো জানান, দেশে চারটি সরকারি ও ৩০টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করছে। ১৪টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের বাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বেতার সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বেসরকারি খাতে ২৩টি বাণিজ্যিক এফএম ও ১৮টি কমিউনিটি রেডিও বেতার সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

Share this post

scroll to top