চূড়ান্ত বাজেটে ব্রোকার হাউজের শেয়ার লেনদেনের উপর প্রদেয় অগ্রিম আয়কর বিদ্যমান দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে কমপক্ষে দশমিক ০১৫ শতাংশ করার জোর দাবি করেছে পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের শীর্ষ সংগঠন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। তারা বলছে, ব্রোকারদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমেও স্থবিরতা বিরাজ করছে। কোভিড-১৯ এর ফলে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা ব্রোকারেজ হাউজের এহেন সঙ্কট আরো চরমে পৌঁছেছে। ক্রমাগত লোকসানের ফলে তাদের অফিস পরিচালন ব্যয়ভার মেটাতে না পেরে অসংখ্য শাখা অফিস ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে।
সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার এক বিৃবতিতে বলেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন কমে যাওয়ায়, একমাত্র কমিশন আয়ের উপর নির্ভরশীল ব্রোকারেজ হাউজগুলো। ক্রমাগত লোকসানের ফলে তাদের অফিস পরিচালন ব্যয়ভার মেটাতে না পেরে অসংখ্য শাখা অফিস ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। আরো অসংখ্য শাখা অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে ব্রোকারদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমেও স্থবিরতা বিরাজ করছে। কোভিড-১৯ এর ফলে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা ব্রোকারেজ হাউজের এহেন সঙ্কট আরো চরমে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জড়িত। পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নে ব্রোকারদের বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে শেয়ার লেনদেনের উপর বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর দশমিক ০৫ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক ০১৫ শতাংশ করার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে লিখিত সুপারিশ জানিয়েছি। পুঁজিবাজারসহ ব্রোকারদের সামগ্রিক পরিস্থিতি তথা কোভিড-১৯ এর ফলে আগামী দিনে ব্যবসায় বিরূপ প্রভাবের সম্ভাবনা বিবেচনা করে বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর কমানোর দাবি করছি।
ডিবিএ নেতা বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ৩ (তিন) বছরের লক-ইন প্রত্যাহার চেয়ে এই কর হার ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছেন। এর ফলে বাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বাজার সক্রিয় ও শক্তিশালী হবে। এছাড়া কোম্পানী থেকে প্রদেয় ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা বিদ্যমান ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে দুই লাখ টাকা এবং অতালিকাভূক্ত কোম্পানীর ন্যয় তালিকাভূক্ত কোম্পানীর ক্ষেত্রেও ২.৫ শতাংশ কর হ্রাস করার সুপারিশ করেছেন। এর ফলে তালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলো ব্যবসায়িকভাবে আরো সক্রিয় ও সমৃদ্ধ হবে। যা প্রত্যক্ষভাবে পুঁজিবাজারের জন্যে, বিনিয়োগকারীর জন্যে তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সুফল বয়ে আনবে বলে শরীফ আনোয়ার মনে করেন।