শেরপুরে স্ত্রী-শাশুড়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জামাই গ্রেপ্তার

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় বোরকা পরে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রী-শাশুড়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক মিন্টু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাতভর অভিযান চালিয়ে শুক্রবার সকালে কাকিলাকুড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘাতক মিন্টু গারামারা এলাকার হাইবুদ্দিনের ছেলে।

এর আগে শ্যালকের বিয়েতে দাওয়াত না পেয়ে বোরকা পড়ে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রী-শাশুড়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করেন মিন্টু মিয়া। এসময় স্বজনদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন আরও দুজন। বৃহস্পতিবার রাতে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পটল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী গেরামারা গ্রামের হাইমুদ্দিনের ছেলে পেশায় হাঁস-মুরগী বিক্রেতা মিন্টু মিয়ার (৪০) সঙ্গে প্রায় আট বছর আগে মনিরা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সাত-আটদিন আগে মনিরার ভাই শাহাদতের বিয়ে হয়। ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়ের জামাইকে দাওয়াত করেননি মনু মিয়া। এ নিয়ে ভীষণ রেগে যান মিন্টু মিয়া। রাগে-ক্ষোভে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি বোরকা পড়ে ধারাল দা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে প্রবেশ করেন। বাড়িতে ঢুকেই তিনি শাশুড়িকে কোপাতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে মনিরা এগিয়ে এলে তাকেও কোপান মিন্টু। এরপর কায়দায় মনিরার চাচা মাহমুদকেও আক্রমণ করেন তিনি। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। তারা মিন্টুকে বাধা দিতে এলে তাদের উপর হামলা করে পালিয়ে যায় মিন্টু।

এই ঘটনায় মিন্টুকে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। রাতভর অভিযান চালিয়ে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শ্বশুরবাড়ির পাশেই একটি কাঠের বাগানে মিন্টু লুকিয়ে আছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আর ঘাতক মিন্টু মিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Share this post

scroll to top