শেরপুরে লাঠির আঘাতে ভাসুরের মৃত্যু

Dead

শেরপুরের নকলায় চাচাতো ছোট ভাইয়ের বউয়ের লাঠির আঘাতে ভাসুর মুরাদ হোসেনের (৫৫) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার টালকি ইউনিয়নে পূর্ব টালকি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুরাদ একই গ্রামের মৃত রহিম মাস্টারের ছেলে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাজেদা বেগম ও তার মেয়ে খুশি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মুরাদ হোসেন দীর্ঘদিন যাবত ঢাকার কল্যাণপুর এলাকায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। তার চাচাতো ভাই জালাল উদ্দিনের সঙ্গে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঈদের ছুটি পেয়ে মুরাদ শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে আসেন। এ সময় তিনি তার বাড়ির জন্য কিছু আসবাবপত্র নিয়ে আসেন। ওই আসবাবপত্র নিয়ে মুরাদ বাড়িতে প্রবেশ করার সময় চাচাতো ছোট ভাইয়ের বউ মাজেদার সঙ্গে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মাজেদা বেগম লাঠি দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করলে মুরাদ মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা মুরাদকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নকলা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাদের মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাজেদা বেগম ও তার মেয়ে খুশিকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Share this post

scroll to top