শেরপুরে তৃতীয় স্ত্রীর মর্যাদা পেল পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী

file picture childপ্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী আক্তার হাসান (৪০) এর হাত ধরে তৃতীয় স্ত্রীর মর্যাদা পেল। এ ঘটনায় ভুয়া কাবিননামার সার্টিফিকেট বানিয়ে দিয়ে বগুড়ার কাহালুর মালঞ্চ এলাকার কাজী এ.কে.এম আনোয়ার হোসেন বিয়ে পড়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানিপুর ইউনিয়নের ছোনকা গ্রামের কদম আলীর মেয়ে গোয়ালজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী আক্তার। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালচনা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৪ জুন রাত্রিতে ছোনকা গ্রামের কদম আলীর মেয়ে গোয়ালজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী আক্তার দড়ি হাসড়া গ্রামের মোখলেছ উদ্দিনের ছেলে হাসান আলী সেখ (৪০) দুটি স্ত্রী রেখে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী আক্তারকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। পরে এ ব্যাপারে শেরপুর থানায় (১৫ জুন) সোমবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু সাথী আক্তারের বয়স ৩ মার্চ ২০০১ সাল দেখিয়ে ১৬ জুন ২০২০ বিয়ে পড়ায় কাজী এ.কে.এম আনোয়ার হোসেন। তাদের উদ্ধার করা হলেও তৃতীয় স্ত্রীর মর্যাদা পেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী আক্তার স্বামীর বাড়ীতে ঘর সংসার করছেন। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, হাসান দুশ্চরিত্রের তার দুটি স্ত্রী আছে। তার চরিত্র খারাপ হওয়ার কারণে তাকে কেউ বাসার ভিতরে যেতে দিত না। কিন্তু সাথীদের আত্মীয়তা হওয়ার সুযোগে হাসান তাদের বাড়ী আসা যাওয়া করত। এই সুত্র ধরে সাথীর সঙ্গে হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাথী ছোট মানুষ কোন কিছু না বুঝে তার সঙ্গে প্রেম করলে সে নাবালিকা মেয়েকে ফুসলে ফাসলে নিয়ে ভুয়া কাবিননামার সার্টিফিকেট বানিয়ে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী দেয়।

গোয়ালজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল হোসেন জানান, সাথী আক্তার আমার স্কুলের ছাত্রী তবে করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় খবর নিতে পারিনি বিয়ে হয়েছি কিনা জানিনা। এ বিষয়ে সাথী আক্তারের বাবা কদম আলী জানান, পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে তবে তার মেয়ে নাবালিকা বয়স মাত্র ১৩ বছর। আর ছেলে হাসানের বয়স ৪০ বছর এবং তার দুটি স্ত্রী আছে। সে আমার না বালিকা মেয়েকে ফুসলে নিয়ে গেলে তাকে খুঁজে না পেয়ে শেরপুর থানায় ১৫ জুন একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলাম। কাজী এ.কে.এম আনোয়ার হোসেন জনান, আমি জন্ম সনদ দেখে বিয়ে পড়িয়েছি।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার এস আই সিয়াম জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মেয়ের বাবার হাতে তুলে দিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিনা পারভিন জানান, বিয়ে হয়েছে এ বিয়টি আমাদের জানা নেই, তবে সে গোয়ালজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামশেদ আলাম রানা জানান, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী বিয়ে হয়েছে এটা বাল্য বিবাহ। আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share this post

scroll to top