শেরপুরে করোনা সন্দেহে ৪ জন : ১ জনকে ময়মনসিংহে প্রেরণ

করোনা ভাইরাস উপসর্গ সন্দেহে শেরপুরে একদিনে ছেলে-মাসহ ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন। ছেলে-মার নমুনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবারই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। অন্য দু’জনের নমুনা পৌঁছবে শুক্রবার। এরা হচ্ছে সদর উপজেলার যোগিনীমুড়া কান্দাপাড়া এলাকার এক কৃষক (৪৮) ও ঘুঘুরাকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের এক যুবক (২২) এবং নকলা উপজেলার ধনাকুশা এলাকায় ছেলে (৩০) ও মা (৫০)।
এছাড়া করোনা উপসর্গ সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের এক কর্মকর্তা (৫০) কে পরীক্ষার জন্য সরাসরি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনওয়ারুর রউফ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ঢাকায় রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহকারী নকলা সদর ইউনিয়নের ধনাকুশা বাজারসংলগ্ন এলাকার এক যুবক  কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসার পর গত ৩/৪ দিন ধরে হাঁচি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়। বুধবার থেকে তার মাও আক্রান্ত হয় হাঁচি-কাশি ও জ্বরে।

এ নিয়ে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ সন্দেহে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হলে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বাড়িটি লকডাউন করা হয়। এছাড়া ওই বাড়ির আশেপাশের ২০ পরিবারের লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার সকালে সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় সদর উপজেলার যোগিনীমুড়া কান্দাপাড়া এলাকার এক কৃষক। পরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ সন্দেহে তাকে পৃথক ওয়ার্ডে রাখা হয়। আর একই উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের এক যুবক বাড়িতেই জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছে। এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হলে খবর পেয়ে তারও নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর ওই বাড়ির লোকজনের চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রাণীসম্পদ বিভাগের এক কর্মকর্তা প্রায় একই রোগে আক্রান্ত হলে বুধবার রাতে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে সরাসরি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Share this post

scroll to top