শাবনুরের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ শাকিব

শাবনুরের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ শাকিব। কিন্তু কেন? পাঠক আপনাদের জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই। তবে জেনে নিন। ২০০৪ সালের কথা। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে পরিচালক হাসিবুল ইসলাম মিজান ‘আমার স্বপ্ন তুমি’ বানাবেন। ফেরদৌস আর শাবনুর গল্প শুনে রাজি। শাবনুরের বিপরীতে রিয়াজকে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু শাবনুর আগ্রহ দেখালেন না। রিয়াজের সঙ্গে অনেক হিট ছবি থাকলেও মনোমালিন্যের কারণে সে সময় শাবনুর এড়িয়ে যেতে চাইলেন রিয়াজকে। মিজান নাছোড়বান্দা, শাবনূরকে বোঝালেন। শাবনূর নরমও হলেন। কিন্তু রিয়াজই সাফ জানিয়ে দিলেন, এই ছবি করবেন না। বিপাকে পড়লেন মিজান। কাকে নেবেন? তখন ইন্ডাস্ট্রিতে ত্রিভুজ প্রেমের ছবি করার মতো রোমান্টিক নায়ক রিয়াজ-ফেরদৌস ছাড়া আছেন শাকিল খান। শাকিলের ক্যারিয়ার তখন পড়তির দিকে।

মিজানের সহকারী বললেন শাকিব খানের কথা। পাঁচ বছর হলো অভিনয় করছেন শাকিব, তবু তারকা খ্যাতি মিলছিল না। মিজান বেশ দ্বিধায় পড়ে গেলেন। এদিকে ফেরদৌস ও শাবনূরের শিডিউল নেওয়া। শুটিং করতে হবে। শাবনূরের সঙ্গে শাকিবের ব্যাপারে আলোচনা করলেন। শাবনূর রাজি। বরং তিনি আরও উৎসাহ নিয়ে রাজি হলেন। শুধু তাই নয়, বললেন, ‘শাকিবের ভেতরে চেষ্টা আছে, অভিনেতাও ভালো। সুযোগ পেলে অবশ্যই ভালো করবে। আমি এই ছেলের জন্য বাজি ধরতে পারি। মিজান পরবর্তী সময়ে শাকিবের সঙ্গে দেখা করে ছবির বাজেট ও পারিশ্রমিক নিয়ে আলোচনায় বসলেন। শাকিব বললেন, ‘টাকা-পয়সা ব্যাপার না, ছবিটি করতে চাই।’

শুরু হলো শুটিং। ইউনিটের সবাই শাকিবের অভিনয়ে মুগ্ধ। ডাবিং করার সময় পুরো ছবি দেখে মিজানকে শাবনূর বললেন,‘ দেখবেন, এই ছবির পর শাকিব সুপারস্টার হয়ে যাবে। আপনি তো টেনশনে ছিলেন।’ সত্যিই তাই। পরের বছর মুক্তি পেল ছবিটি। পাল্টে গেল শাকিবের ভাগ্য। তাঁর লুক, অভিনয়, শাবনূরের সঙ্গে রসায়ন-দারুণ পছন্দ করেছে দর্শক। উত্থান হলো তারকা শাকিব খানের। যে কৃতজ্ঞতা এখনো জানান শাকিব খান।

Share this post

scroll to top