শরিকদের মন্ত্রীসভায় না রাখার ব্যাখ্যা দিলেন ওবায়দুল কাদের

সোমবার সচিবালয়ে শেষ কর্মদিবসে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছিলেন, ১৪ দলের কোনও নেতাকে মন্ত্রিসভায় না নেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। মঙ্গলবার সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মন্ত্রী করার শর্তে জোট করা হয়নি।

মঙ্গলবার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা জোট করেছি। জোট করার অর্থ এই নয় যে, আমরা শর্ত দিয়েছি যে, মন্ত্রী করতেই হবে। ১৪ দল আমাদের দুঃসময়ের শরিক। তারা অতীতে ছিলেন, ভবিষ্যতে থাকবেন না সে কথা তো আমরা বলতে পারছি না’।

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারে এসে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, তাতে গতবারের মন্ত্রীদের অনেকেরই স্থান হয়নি। ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় ৩১ জনই নতুন মুখ। বাদ পড়ছেন আগের মন্ত্রিসভার ৩৪ জন। এছাড়া পাঁচজন প্রতিমন্ত্রী থেকে পদোন্নতি পেয়ে পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন।

পুরনোদের মধ্যে ওবায়দুল কাদের টিকে গেলেও আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল মাল আবদুল মুহিত, মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ, খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মত বড় নেতারা এবার বাদ পড়ে গেছেন। জোটের শরিক নেতা রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুও এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। এই প্রথম শরিক দলের কাউকে শেখ হাসিনা তার সরকারে রাখেননি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী সোমবার রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের শপথ নেন।

মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন,‘পছন্দের ব্যাপারটা প্রাইম মিনিস্টার শেখ হসিনার, আমাদের নেত্রীর; তিনি সঠিক লোকদের চয়েস করেছেন। জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা কাজ করব, পারফর্মেন্স করব; সেটাই আমাদের অঙ্গীকার’।

পুরনোদের অনেকের নতুন সরকারে না থাকাকে ‘বাদ পড়া’ বলতে চান না ওবায়দুল কাদের। তার ভাষায়, পুরনো নেতাদের অনেকের দায়িত্বের ‘পরিবর্তন ঘটেছে, রূপান্তর ঘটেছে’।

‘দল এবং মন্ত্রিত্বের আলাদা আলাদা সত্তা আছে। আমি মনে করি না যে ‘বাদের’ কোনো ব্যাপার আছে এখানে।… কাজের রূপান্তর হয়েছে মাত্র’।

নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে জোটে কোনো টানাপড়েন নেই দাবি করে কাদের বলেন, এ মন্ত্রিসভা ‘সফল’ হবে বলেই তার বিশ্বাস।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top