লাকসামে ভয়াবহ আগুনে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

লাকসাম শহরের নোয়াখালী রেলগেইটসংলগ্ন টিঅ্যান্ডটি মার্কেট বনফুলের দোকানসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বাজারের খাতুন মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত হয়।

পরে দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

জানা গেছে, আগুনে বনফুল কনফেকশনারী, এস আর ইলেকট্রিকসহ আরো কয়েকটি ইলেকট্রিক দোকান ও কয়েকটি ওষুধের দোকান পুড়েছে। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস দলের সদস্যরা এলেও পানি সমস্যার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বাজার এলাকার জগন্নাথ দীঘিতে বেশ কিছুদিন থেকে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলায় এটি পানিশূন্য রয়েছে। পাশের এই দীঘিটি ছাড়া বাজার এলাকায় আর কোনো পুকুর বা খোলা স্থানে পানির ব্যবস্থা নেই।

তবে লাকসাম ফায়ার সার্ভিস নিজস্ব পানির ব্যবস্থাপনায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এর আগে ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি রাতে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের মনোহরিপট্টিতে ভয়াবহ আগুনে শতাধিক দোকান পুড়ে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়। লাকসামে অবাধে পুকুর ডোবা ও বিভিন্ন জলাশয় ভরাটের কারণে বাজারে বারবার আগুন লাগার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ছে।

লাকসাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডিউটি অফিসার জানান, খবর পাওয়ার পর যতদ্রুত সম্ভব ফায়ার সার্ভিস দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কিন্তু পানির সমস্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি তদন্ত করে বলা যাবে।

Share this post

scroll to top