লক্ষীপুরে ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের নামে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাছরিনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার চেক মামলায় লক্ষীপুরে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট লক্ষীপুর সদর আদালতের বিচারক শামছুল আরেফিন এ আদেশ দেন। মামলার আইনজীবী ও ভূক্তভোগী মুহাম্মদ মাহমুদুল হক সুজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবী সুজন সাংবাদিকদের বলেন, মামলাগুলো আমলে নিয়ে বিচারক সমন জারি করেন। মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আদালত নোটিশ পাঠায়। কিন্তু তারা আদালতে উপস্থিত হননি। এতে আদালতের বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।

গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত অন্যরা হলেন ইভ্যালির ম্যানেজার ফাইন্যান্স জায়েদ হাসান, সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স আব্দুল্যা আল মাসুদ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল।

সূত্র জানায়, চলতি বছর ২৭ ও ২৮ মার্চ মুহাম্মদ মাহমুদুল হক সুজন বাদী হয়ে ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তারী পরোয়ানভুক্তদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ল²ীপুর সদর আদালতে ৩টি মামলা দায়ের করেন। বাদী মাহমুদুল হক লক্ষীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে।

এজাহার সূত্র জানায়, মাহমুদুল হক এসি, টিভি, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য ইভ্যালিতে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু পণ্যগুলো দিতে ইভ্যালি ব্যর্থ হয়। এতে ইভ্যালির কর্মকর্তা জায়েদ হাসান ও আব্দুল্যা আল মাসুদের যৌথ স্বাক্ষরে মিডল্যান্ড ব্যাংক হিসাবে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার ৩ টি চেক রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাহমুদুল হকের কাছে পাঠায়। এতে চেকগুলো নগদায়নের জন্য তিনি গত ১৩ জানুয়ারি নিজের ওয়ান ব্যাংক হিসাবে জমা দেন।

এরমধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার পৃথক চেক ছিল। ওয়ান ব্যাংক থেকে চেকগুলো নগদায়নের জন্য মিডল্যান্ড ব্যাংকে পাঠালে জানা যায় ইভ্যালির হিসাব বন্ধ রয়েছে। এতে ডিজঅনারপূর্বক চেকগুলোর ফেরত আসে।

১০ ফেব্রুয়ারি মাহমুদল হক আইনজীবীর মাধ্যমে পাওনা টাকার জন্য অভিযুক্তদের লিগ্যাল নোটিশ করে। কিন্তু তারা পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি ও চেকগুলোও ফেরত নেয়নি। এতে ইভ্যালির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা ও হিসাব বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চেক প্রদান করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৮৮১ সালের এন.আই.এ্যাক্টের ১৩৮/১৪০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

Share this post

scroll to top