র‌্যাবের সোর্স হত্যা: ২ আসামীর স্বীকারোক্তি, রিমান্ডে ২

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সোর্স কাশেম খুনের মামলায় দু’জন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এই দুজন হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন রাতুল ও ইব্রাহিম হোসেন রুবেল।

গ্রেফতার অপর দুই আসামি মাসুদ ও রেজাউলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গ্রেফতার চারজনকে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই আশিক রহমান আদালতে হাজির করেন। এ সময় রাতুল ও রুবেল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তিনি। অন্যদিকে মাসুদ ও রেজাউল করিমের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া অন্য একজন বিচারক অপর দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও পটুয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার ছুরি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর প্রায় ১১শ’ গ্রাম গাঁজাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন এক নারী মাদক ব্যবসায়ী ও তার ছেলে। চল্লিশোর্ধ ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অসম ও অসামাজিক সম্পর্কে জড়িত ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাতুল (৩২)।

ওই নারী গ্রেফতারের পর রাতুলের ধারণা হয়, তার ধরা পড়ার পেছনে সোর্স কাশেম ওরফে কাইশ্যার (৩৫) হাত রয়েছে। এ কারণে কাশেমকে উচিত শিক্ষা দিতে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাতুল। এর জেরেই পরিকল্পিতভাবে গত ৫ সেপ্টেম্বর কাশেমকে খুন করা হয়।

ডিসি হারুন বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাতুল মামাতো ভাই রেজাউলের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন পূর্ব-পরিচিত রুবেলের দোকানে। আড্ডার মাঝে এসে যোগ দেন রিকশাচালক মাসুদ। কথা প্রসঙ্গে কাশেমকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তারা।

এরপর রাতুল ও রুবেলের মোটরসাইকেলে করে চারজন মিলে খুঁজতে থাকেন কাশেমকে। এক পর্যায়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং এলাকায় তারা কাশেমকে পেয়ে যান। ধারালো সুইচ গিয়ার বের করে ধাওয়া দিলে প্রাণ ভয়ে কাশেম দৌড়াতে থাকেন। এরপর পরিকল্পনা কমিশনের সামনের ফুটপাথে কাশেমকে ধরে ফেলেন তারা। সেখানেই সুইচ গিয়ার দিয়ে কাশেমকে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়।

পথচারীরা উদ্ধার করে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাশেমকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরদিন গত ৬ সেপ্টেম্বর মৃতের স্ত্রী নাহার বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Share this post

scroll to top