রিফাত হত্যা মামলায় দুই সাক্ষীকে টেন্ডার ঘোষণা

বরগুনার বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তিনজন সাক্ষ্যর জেরাসহ এ পর্যন্ত ৫১ জন সাক্ষ্যর জেরা সমাপ্ত হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ দুইজন সাক্ষীকে টেন্ডার ঘোষণা করেন।

পূর্বের সাক্ষীর সাক্ষ্য সমর্থন করে যদি পরবর্তী সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে চান, তবে তাকে আইনি ভাষায় এভিডেন্স বা সাক্ষ্য টেন্ডার করা বলে। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী সাক্ষীকে নতুন করে সাক্ষ্য দিতে হয় না

বুধবার দুপুরে বরগুনার শিশু ও জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমানের আদালতে মীর রাফিউল হাসান, নান্না মিয়া ও সন্ধ্যা রাণী যখন সাক্ষ্য দেয় তখন হাজতে থাকা ৭ শিশু আসামি ও জামিনে থাকা ৭ শিশু আসামী আদালতে মোট ১৪ জন শিশু আসামি উপস্থিত ছিল।

আদালতে সাক্ষ্য শেষে সন্ধ্যা রাণী নয়া দিগন্তকে বলেন, ২৬ জুন আমি বরগুনা কলেজ গেটে দোকানে ছিলাম। আমি দেখেছি কয়েকটি ছেলে একটি ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে। পরে ছেলেটি একা একটি রিক্সায় চড়ে চলে যায়। এই ঘটনার পরে জানতে পারি রিফাত ফরাজি, রিশান ফরাজি ও নয়ন বন্ড রিফাত শরীফকে কোপায়।

সাক্ষ্য নান্না মিয়া বলেন, আমি ২৭ জুন বিকাল সাড়ে তিনটায় বরগুনা থানায় যাই। তখন রিফাত হত্যার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির ০০৭ বন্ড গ্রুপের কিছু কাগজপত্র কম্পিউটর থেকে প্রিন্ট করে জব্দ করেন। আমি সেই জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করি। সাক্ষ্য নান্না মিয়াকে জেরা করেন, রিশান ফরাজির আইনজীবী মো. সোহরাফ হোসেন মামুন। অন্য আসামিদের পক্ষে কোন আইনজীবী জেরা করেননি।

রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিশু আদালতে এ পর্যন্ত ৫১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যরা যখন সাক্ষ্য দেয় তখন সকল ১৪ জন শিশু আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। সাক্ষ্য মীর রাফিউল হাসান ও সন্ধ্যা রাণীকে টেন্ডার (সাক্ষ্যর বর্ণনা মানিয়া নেয়ার জন্য আদালতে পেশ করা) ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই দুইজন সাক্ষ্য পুলিশের নিকট যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তা আদালতে মানিয়া নেয়ার জন্য পেশ করা হয়। ওই দুইজন সাক্ষ্যর জেরাও করেনি আসামিদের আইনজীবীরা।

Share this post

scroll to top