রায়ে সন্তুষ্ট জনির পরিবার

পুলিশ হেফাজতে গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যুর মামলায় তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন এবং পুলিশের দুই সোর্সকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জনির পরিবার।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।

নিহত জনির ভাই এবং মামলার বাদী ইমতিয়াজ হোসেন রকি বলেছেন, ‘অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করেছিলাম, এসআই জাহিদ যেন জেল থেকে বের হতে না পারে। সে আশা পূরণ হয়েছে। আমরা সবাই আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এ আইন প্রণয়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ। এ রায় যেন উচ্চ আদালতে বহাল থাকে, এ আশা করছি।’

জনির মা খুরশিদা বেগম বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। আর যেন কাউকে সন্তান হারাতে না হয়। আর যেন কাউকে এভাবে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মেরে ফেলা না হয়। এ রায় হওয়ায় অনেকে এখন এ ধরনের কাজ করতে ভয় পাবে।’

নিহত জনির দুই ছেলে-মেয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেছেন খুরশিদা বেগম।

মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘এ আইনে যে সাজা ছিল, তার সর্বোচ্চটা পেয়েছি। হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনের ড্রাফটিংয়ে আমরা ছিলাম। সেখানে মৃত্যুদণ্ড ছিল। পরে আইনটা যখন পাস হয় তখন মৃত্যুদণ্ড সরিয়ে দেওয়া হয়। আপনারা দেখবেন, প্রতিবছর পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয় আইনটা উঠিয়ে দেওয়ার। আমরা চাই, আইনে মৃত্যুদণ্ডটা আসুক।‘

এ ধরনের মামলায় সবাইকে সাহায্য করার আহ্বান জানান অ্যাডভোকেট সালমা আলী। পুলিশ হেফাজতে ঝুট ব্যবসায়ী সুজন হত্যা মামলারও দ্রুত নিষ্পত্তি হবে, এমন আশা করেন তিনি।

সালমা আলী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারকে প্রটেকশনটা সরকার থেকে দিতে হয় এবং পুলিশ দেয়। ভিকটিম ও সাক্ষীদের সুরক্ষার বিষয়ে এই আইনে যে ফাঁক-ফোকর আছে, তা পরিবর্তন করা হবে বলে আশা করি।’

Share this post

scroll to top