রাজশাহীর আমবাগানে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিল আদালত

রাজশাহীসহ দেশের বড় আমবাগানের পাকা আমে যেন কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক বা কেমিক্যালের ব্যবহার রোধে আগামী সাতদিনের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী সাত দিনের মধ্যে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এক রিটের সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে ফলের বাজারে ও গুদামে রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধে একটি পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। পুলিশের আইজি, বিএসটিআই, র‌্যাবের মহাপরিচালককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ রায় দেন। রায়ে সাত দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। সেখানে আমের মৌসুমে রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ এবং একটি পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করতে বলা হয়। যার ধারাবাহিকতায় নতুন করে আমের মৌসুম আসায় আইনজীবী হাইকোর্টে এক সম্পূরক আবেদন দিয়ে আদেশ চান।

মনজিল মোরসেদ জানান, ‘রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে একটি পর‌্যবেক্ষণ টিম ফলের বাজার ও গুদামে মনিটর করবে যাতে সারাদেশে কেউ কেমিক্যাল ব্যবহারের আম পাকাতে না পারে। পুলিশের মহা পরিদর্শক, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের পরিচালক(কেমিক্যাল টেস্টিং উইং) এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিবেন।

আবেদনের বিবাদীরা হচ্ছেন, শিল্প সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, পুলিশের মহা পরিদর্শক, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের পরিচালক(কেমিক্যাল টেস্টিং উইং), রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান।’

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top