রাজধানীতে বেড়েছে মানুষ ও যানবাহনের চাপ

কঠোর লকডাউনের শেষ সময়ে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল এবং অলিগলিতে সাধারণ মানুষের ঘোরাফেরা বেড়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও অফিসের গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশা ও ভ্যানগাড়িতে মানুষ চলাচল করেছে।

সোমবার (২ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শাহবাগের প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও পাড়া-মহল্লার ভেতরের রাস্তায় লোকজনকে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দোকানও অর্ধেক শাটার খোলা রেখে ব্যবসা করতে দেখা গেছে।

এছাড়া জীবন জীবিকার তাগিদে মানুষ করোনাভাইরাসের ভয়কে তুচ্ছ করে ঘর থেকে বের হচ্ছে। নগরীর মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েও মানুষকে ঘর থেকে বের হওয়া যেন থামানো যাচ্ছে না।

রাজধানীর সড়কগুলোতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাও নজরে পড়ে দুপুরের পর। সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ঢাকার রাস্তায় চলছে।

এছাড়া সিএনজি অটোরিক্সাও তো রয়েছেই সড়কে। রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সব রাস্তায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। শিল্প-কারখানা ও গার্মেন্টস খোলার পর অতিরিক্ত গাড়ির চাপে রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে যানজটের মতো অবস্থা দেখা গেছে।

দুপুরে আসিফুর রহমান নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী বলেন, গণপরিবহন না থাকায় কর্মস্থলে এবং জরুরি কাজে যাওয়ার পথে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। যানবাহনের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বাস বন্ধ রেখে অফিস খুলে দেওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

তিনি বলেন, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের ভাড়া আকাশচুম্বী। জনপ্রতি ১০০ টাকা করে মোটর সাইকেলে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। অথচও এই দূরত্বে বাস ভাড়া ১৫ টাকা।

এদিকে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেওয়া লকডাউন উপলক্ষে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ার বিধিনিষেধ থাকলেও তা মানা হয়নি অনেকে এলাকায়। কারওয়ান বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, নির্দিষ্ট সময়ের পর ওষুধের দোকান ছাড়াও অন্যান্য দোকানপাট খোলা রয়েছে।

Share this post

scroll to top