রংপুরে এরশাদের কুলখানিতে রাঙ্গাকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রওশন

আজ ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও বিরোধী দলীয় নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কুলখানি।এই উপলক্ষে দুপুরে রংপুর মহানগরীর দর্শনাস্থ পল্লি নিবাসে উপস্থিত ছিলেন এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ,ছেলে সাদ ও নেতাকর্মীরা।কুলখানি উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের পর দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা এবং এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ এমপি কবর জিয়ারত করেন। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।কাঁদতে থাকা রওশন এরশাদকে পাশে থাকা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা সান্তনা দিতে গিয়ে নিজেও কেঁদে উঠেন।এ সময় আবেগঘন এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবর জিয়ারত করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।

বিরোধী দলীয় উপ নেতা রওশন এরশাদ বেলা আড়াইটায় হেলিকপ্টার যোগে রংপুর এসে এরশাদের কবর জিয়ারত করে দোয়া মোনাজাত করেন। এরপর তিনি এরশাদের স্মৃতি বিজরিত পল্লীনিবাসে যান। এরশাদের মৃত্যুর পর প্রথম তিনি রংপুর আসলেন।

এর আগে সকাল থেকে পল্লী নিবাসে চলতে থাকে কোরআন তেলাওয়াত ও চেহলামের তবারক রান্নার কাজ। বাদ জোহর দোয়া মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য রংপুর মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা সভাপতি এসএম ফখর উজ-জামান জাহাঙ্গীর, নারায়গঞ্জের এমপি সেলিম ওসমান, লিয়াতক হোসেন খোকা এমপি প্রমুখ।

পরে এরশাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

Share this post

scroll to top