ময়মনসিংহ সিটিতে এখনই লকডাউন হচ্ছে না : মেয়রকে এসওপি তৈরির নির্দেশ

corona-update-Mymensingh-City-Lockdownময়মনসিংহ সিটিতে ‘রেড জোন’ চিহ্নিত এলাকায় এখনই লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে না। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে লকডাউন বাস্তবায়নে কী ধরনের সমস্যা রয়েছে এবং কিভাবে এই লকডাউন বাস্তবায়ন করা যেতে পারে, সে বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটুকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরির নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১৭ জুন) রাতে ময়মনসিংহ সিটি মেয়রসহ দেশের অন্যসব সিটি মেয়রদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু বৈঠকে লকডাউন কার্যকরের বিষয়ে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন মেয়ররা। ফলে বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার থেকে লকডাউন কার্যকরের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি মন্ত্রী। বরং তিনি লকডাউন কার্যকরের সম্ভাবতা যাচাইয়ের জন্য এসওপি বা মানসম্মত কার্য পদ্ধতি প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে স্বাস্থ্য অধিদফতর যেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, সেসব এলাকায় আগামী সপ্তাহের আগে লকডাউন কার্যকর হচ্ছে না। বরং তিনি লকডাউন কার্যকরের সম্ভাবতা যাচাইয়ের জন্য এসওপি বা মানসম্মত কার্য পদ্ধতি প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন কার্যকর করার ক্ষেত্রে আরও কয়েকটি মন্ত্রণায়েরও ভূমিকা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় তাদের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বসবেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

এর আগে দুপুরে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন এলাকা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, লকডাউন কবে থেকে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে রাতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবেন। রাতের বৈঠকে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। বৈঠক সূত্র বলছে, এই সিদ্ধান্ত নিতে আরও তিন থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে লকডাউন কার্যকর করা বিষয়ে নানা সমস্যার কথা উঠে আসে মেয়রদের পক্ষ থেকে। বৈঠকে ময়মনসিংহ, রংপুর ও বরিশালের মতো সিটি করপোরেশনগুলোতে জনসংখ্যার অনুপাতে লকডাউন কার্যকরের প্রস্তাব আসে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো জনবহুল এলাকাগুলোতে আবার সে প্রস্তাব কার্যকর করা সম্ভব নয় বলেও মত পাওয়া যায়। উঠে আসে অন্য সব সমস্যাও। বিশেষ করে জনবহুল এলাকায় লকডাউন কার্যকরের ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা চিহ্নিত হয়। সার্বিক বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত লকডাউনের কার্যকরের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, প্রতিটি সিটি করপোরেশনের মেয়রদের এসওপি তৈরি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব সিটির এসওপি মন্ত্রণালয়ে আসার পর সেগুলোকে পর্যালোচনা করে মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত এসওপি তৈরি করবে। আর সেই এসওপি অনুযায়ীই সব সিটি করপোরেশনে লকডাউনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি হবে। আর এসব কার্যক্রম শেষ করতে তিন থেকে পাঁচ দিন সময় লেগে যাবেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, কাল থেকেই লকডাউন হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যেকোনো সময় লকডাউন কার্যকরের ঘোষণা আসতে পারে। তাই জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে সব জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Share this post

scroll to top