ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পাশ থেকে সৌদি প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মহাসড়কের পাশ থেকে সৌদি প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পাশ থেকে এক প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের টঙ্গী এলাকা থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম মোঃ সফিক মুন্সি (৪৫)। তার বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সফিপুর থানার বড় কান্দা গ্রামে।

জানা যায়, গত ৩ মার্চ সস্ত্রীক টঙ্গীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন সফিক। ২৬ জুন সকাল ১০টায় তিনি টঙ্গীর আউচপাড়া খাঁপাড়া রোডে আত্মীয়ের বাসা থেকে স্থানীয় মোক্তার বাড়ি রোডের উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে আর বাসায় ফিরেননি। এ ব্যাপারে সফিকের স্ত্রী ফাতেমা ওই দিন রাতে জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আজ পুলিশ একটি লাশ উদ্ধার করেছে- এমন খবর পেয়ে স্বজনরা থানায় গিয়ে সফিকের লাশ সনাক্ত করেন।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের স্থানীয় সফিউদ্দিন রোড সংলগ্ন টিএসএস বাউন্ডারি ঘেঁষে বিআরটি প্রকল্পের পিলারের পেছনে একটি লাশ লোহার অ্যাঙ্গেলে ঝুলছে- স্থানীয়দের এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের মুখমণ্ডলসহ শরীর অনেকটা ফোলা ও বিকৃত হয়ে আছে। তবে নিহতের শরীরে আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হয়তো ঘটনা আরো আগের হওয়ায় এবং লাশ বিকৃতির কারণে আঘাতের চিহ্ন বুঝা যাচ্ছে না। বাউন্ডারি ও পিলারের ফাঁকে লাশটি ঝুলে থাকায় হয়তো এতো দিন কারো নজরে পড়েনি। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ ব্যাপারে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি থানার ওসি এমদাদুল হক। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় সফিক যার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ইসমাঈল (৩৫) নামের তার সেই আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আটক ইসমাইলের বাবার নাম হাসান। তার বাড়ি একই এলাকার মুন্সিকান্দি গ্রামে।

এদিকে স্থানীয়দের ধারণা, এটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের কাজ। আলোচিত ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা সন্ধ্যার পরই ছিনতাইকারীদের দখলে চলে যায়। ইত:পূর্বেও একই এলাকায় ছিনতাইকারীদের হাতে একাধিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় এবং অনেক পথচারী ঘটনাস্থলে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হন।

Share this post

scroll to top