ময়মনসিংহ-গাজীপুর মহাসড়কে চাপ কম; বিমানবন্দর সড়কে ভয়াবহ যানজট

ময়মনসিংহ-গাজীপুর মহাসড়কে বাসসহ ভারী যানবাহনের চাপ অনেকাংশে কম থাকলেও রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে সকাল থেকেই ভয়াবহ যানজট। গাড়ি ঠায় বসে আছে সড়কে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের ভেতর অপেক্ষার পর অনেকে হেঁটে গন্তব্যের দিকে ছুটছেন। গাড়িতে করে ১ ঘণ্টার পথ পেরোতে লাগছে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা।

এদিকে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে যাওয়া এনা, সৌখিনসহ অন্যান্য যাত্রীবাহী বাসগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা গাজীপুর চৌরাস্তায় আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে। এতে করে ময়মনসিংহ-গাজীপুর মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন অবর্ণনীয় দুভোগ পোহাতে হয়েছে এই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের।

ভয়াবহ যানজটে এই পথে চলাচলকারী কেউ-ই সঠিক সময়ে গন্তব্যে যেতে পারেননি। অফিসগামীদের অনেকেই পায়ে হেঁটে অফিস ধরেছেন।

রাজধানীর উত্তরা-বিমানবন্দর সড়কে গত কয়েক দিন ধরেই অসহনীয় যানজট। একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকা ও বেহাল রাস্তার কারণে এই যানজট বলে দাবি ট্রাফিক বিভাগের। আজ ভোরে হওয়া বৃষ্টি রাজধানীবাসীর ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। এ অবস্থায় সকাল থেকেই স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রোববার সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়ক প্রায় থমকে ছিল। ঢাকার ভেতরে ঢোকা এবং বের হয়ে যাওয়ার দুই পথেই তীব্র যানজট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, সকাল আটটায় টঙ্গী স্টেশন রোডে বাসে উঠে ১০ মিনিট একই জায়গায় বসে থাকার পর হেঁটেই রওনা দেন অফিসের দিকে। এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সড়কে দুপাশে স্থবির ছিল যানচলাচল। এয়ারপোর্ট পর্যন্ত তার হেঁটে আসতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টার বেশি সময়। এয়ারপোর্ট থেকে বাসে করে খিলক্ষেত আসতে তার সময় লেগেছে আরও এক ঘণ্টা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, টঙ্গী থেকে আব্দুল্লাহপুর, আবদুল্লাপুর থেকে উত্তরা, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, বিশ্ব রোড, বনানী, কুড়িল প্রগতি স্বরণিজুড়েই তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বনানী, বিশ্বরোড, খিলক্ষেত, কাওলা, এয়ারপোর্ট, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর পেরিয়ে গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

আবদুল্লাহপুর থেকে বনানীতে এসে প্রতিদিন অফিস করেন ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বি। তিনি বলেন, ৯টায় আমার অফিস শুরু হয়। সে হিসেবে আমি সাড়ে ৭টায় বাসে উঠি। আবদুল্লাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত আমার আসতে লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্তও জ্যাম। পরে বিমানবন্দর থেকে হেঁটে খিলক্ষেত আসি। ফুটপথেও মানুষের ব্যাপক চাপ। এ জন্য ঠিক মতো হাঁটাও সম্ভব হয়নি।

বিমানবন্দর সড়কে চলাচলকারী তুরাগ পরিবহণের চালক সহকারী সবুজ আক্ষেপ করে বলেন, সকাল ৭টায় টঙ্গী বাজার থেকে ছেড়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে ৩ ঘণ্টারও বেশি।

Share this post

scroll to top