ময়মনসিংহে মোবাইলে কলড্রপের কারণে ভোগান্তিতে গ্রাহক

Mobile-call-dropময়মনসিংহে প্রতিমিনিটেই হুটহাট কলড্রপ হচ্ছে। পাঁচ মিনিটের কথোপকথনে দুই মিনিটই শুনতে না পাওয়া। পড়াশোনা কিংবা দাপ্তরিক কাজে ইন্টারনেটের ধীরগতি। করোনাকালে মুঠোফোন সেবা নিয়ে এমন অসংখ্য অভিযোগ গ্রাহকদের। সেবায় চরম ভোগান্তি থাকলেও গ্রাহকের পকেট ঠিকই কাটছে মুঠোফোন অপারেটররা। যদিও মান খারাপের দায় এককভাবে নিতে চায় না তারা। বিটিআরসি বলছে মুঠোফোন সেবার মান যাচাইয়ে চলছে ড্রাইভ টেস্ট। নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

ময়মনসিংহের একাধিক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসায়িক প্রয়োজনে প্রতিদিন সরবরাহকারী ও ক্রেতাদের সাথে মুঠোফোন কথা বলতে হয় তাকে। মুঠোফোন সেবা নিয়ে জানালেন ভোগান্তির কথা।

ভুক্তভোগী জানান, ৫ মিনিট কথা বললে ২ দুই মিনিটই শুনতে পাই না। যে কথা দুই মিনিটে শেষ হতো সেটা ৫ মিনিট লাগে। তিন মিনিটের টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে আমার।

করোনায় অনলাইনে কেনাকাটা, সামাজিক যোগাযোগ, পড়াশোনা এমনকি দাপ্তারিক কাজকর্মও হয়ে পড়েছে মোবাইল ইন্টারনেট নির্ভর। ভোগান্তি আছে সেখানেও।

আরো কয়েকজন মোবাইল ব্যবহারকারী জানান, ময়মনসিংহে নেটের অবস্থা খুব খারাপ। অনলাইনে ক্লাস করতে পারি না ঠিকমতো। বাফারিং করে। কিন্তু ডাটা ঠিকই কাটছে।

সেবার মান খারাপের নেপথ্যে দুটি কারণ উল্লেখ করেছে মুঠোফোন অপারেটরা।

রবির হেড অব রেগুলেটারি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, করোনার সময়ে আমরা সরকারের কাছে আরজি জানিয়েছি। সরকার এতে সাড়া দেয়নি। উচ্চমূল্যের কারণে কাঙ্খিত সেবা দিতে গ্রাহক অনুপাতে প্রয়োজনীয় তরঙ্গ নেই তাদের হাতে। আবার ২০১৮ সালে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দেয়ায় গত দুই বছরে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে করতে পারেনি কোন কাজ।

টাওয়ার নির্মাণ না হওয়ার জন্য মুঠোফোন অপারেটরদেরকে পাল্টা দায়ী করছে টাওয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

সামিট টাওয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম বলেন, ওনারা আমাদেরকে অর্ডার দেয়নি। সেজন্য আমরা করতে পারেনি।

বিটিআরসি বলছে, নীতিমালা অনুযায়ী কল সাকসেস রেট ৯৭ শতাংশ বা তার বেশি; কলড্রপ দুই শতাংশের কম থাকা; কল সেটআপ টাইম ৭ সেকেন্ড; থ্রিজি ডাটার ন্যূনতম গতি ২ এমবিপিএস এবং ফোরজিতে ন্যূনতম গতি ৭ এমবিপিএস রাখতে হবে। এসব যাচাইয়ে দেশের ৩০০ উপজেলায় চলছে ড্রাইভ টেস্ট।

বিটিআরসি প্রকৌশল ও পরিচালন বিভাগের কমিশনার প্রকৌশল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাদের কোয়ালিটি অব সার্ভিস ম্যান্টন করা উচিত। গ্রাহক যদি সেবা ঠিকমতো না পায় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

আগামী জুন মাসের মধ্যে ড্রাইভ টেস্টের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে বিটিআরসি।

Share this post

scroll to top