ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে না পারায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্যামলী আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী এমনই অভিযোগ উঠেছে। তবে স্বামীর পরিবারের দাবি, বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।ছে শ্যামলী আক্তার
এঘটনায় গৌরীপুরের ডৌহাখলা ইউনিয়নের কামার সিংজানী গ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার বসতভিটা হতে স্ত্রী শ্যামলী আক্তারের (১৯) লাশ বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের পুত্র মো. আব্দুল কাদির জানান, তার মেয়ের সঙ্গে প্রায় ৭ মাস পূর্বে ডৌহাখলা ইউনিয়নের কামারসিংজানী গ্রামের আলকাছ আলীর পুত্র মো. ফরিদ মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে দিতে চাপ দেয় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
তিনি আরও জানান, যৌতুকের টাকা নিতে ৭ মাসে ১৫ থেকে ২০ বার আমার মেয়েকে আমার বাড়িতে পাঠিয়েছে। মৃত্যুর আগের দিনও টাকা নিতে আমার বাড়িতে চলে আসছিল। টাকা না নিয়ে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য হয়। আমার মেয়েকে ওরা টাকার জন্য হত্যা করে পরে খবর দেয় আামার মেয়ে নাকি আত্মহত্যা করেছে।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।