ময়মনসিংহে বাকপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ: ২২ সপ্তাহ পর ছবি দেখে ধর্ষক চিহ্নিত

ময়মনসিংহের পাগলায় বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ২২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় মো. জহিরুল ইসলাম (২৮) নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের মো. নাছির মিয়ার ছেলে।

শনিবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ১১ টায় পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার (২৭ মে) রাতে ওই বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীর মা বাদী হয়ে জহিরুল ইসলামকে আসামী করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন সকালে ওই তরুণীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিকালে তরুণীর জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়।

ভিক্টিমের চাচাত ভাই বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণী বাকপ্রতিবন্ধী। গত জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে নিজ বাড়িতে একা পেয়ে জোড়পুর্বক ধর্ষণ করে বখাটে জহিরুল ইসলাম। তবে, মেয়েটি কথা বলতে না পারায় তার পরিবারকে বিষয়টি জানাতে পারেনি। এভাবেই ঘটনাটি চাপা পরে যায়।

সম্প্রতি, ওই বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীর জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়। পরে কবিরাজী ওষুধ খাওয়ানোর পর তার জন্ডিস ভাল হয়। তবে, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২০ মে ডাক্তার দেখাতে যান। ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দেন।পরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পর তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারি।

তবে, কে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানা ছিল না। সে কারোর নামও বলতে পারে না। এমতাবস্থায় এলাকার কিছু বখাটে ছেলের ছবি দেখালে, সে জহিরুল ইসলামকে ধর্ষক হিসাবে চিহ্নিত করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জহিরুল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় থানায় মামলা করি।

ওসি মো. রাশেদুজ্জামান আরও বলেন, এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় অনেক দেন-দরবার হয়েছে। যে কারণে অভিযুক্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে, তাকে গ্রেপ্তারে একাধিক টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

Share this post

scroll to top