ময়মনসিংহে ফেইম ব্যান্ডের উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিনামূল্যে বিতরন

Sohel nEwsস্টাফ রিপোর্টার: ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহনাভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু’ প্রয়াত গণসঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকার এই গানটিকেই যেন নতুন করে সামনে নিয়ে আসলো ময়মনসিংহের পাইওনিয়ার মিউজিক্যাল ব্যান্ড “ফেইম”। সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে ‘করোনা’ ভাইরাসের এই দূর্যোগ ও দুর্বিপাকের সময় আর্তমানবতার সেবায়। গত বৃহস্পতিবার মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন ময়মনসিংহ মহানগরীতে ফেইম ব্যান্ডের উদ্যেগে দরিদ্র ও দিনমজুর মানুষের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিনামূল্যে বিতরন করা হয়। বিডিক্লিন ময়মনসিংহের সহযোগিতায় দরিদ্র মানুষের মাঝে চাল, ডাল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরনসহ করোনা দুর্যোগের এই কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালো ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ড দলটি। কোন ধরনের ঢাক ঢোল না পিটিয়ে, কোন পূর্ব  ঘোষণা ছাড়াই একেবারেই পরিকল্পিত ও নিরাপত্তা বজায় রেখে ফেইমের এই উদ্যেগ সকল মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন বেলা ১১টায় মহানগরীর বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের যাত্রী ছাউনির সামনে উপস্থিত হয় ব্যান্ড দল “ফেইম’ ও ‘‘বিডিক্লিন ময়মনসিংহ”-এর সদস্যরা। এ  সময় সামনের সড়কপথে চলাচলকারী শতাধিক দরিদ্র রিক্সাওয়ালা, অেটো রিক্সাচালক, হকার, দিনমজুরদের মধ্যে দলটি চাল, ডাল ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার,  মাস্ক ইত্যাদিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরন করে দলটি। প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন ও সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন ব্যান্ড দল “ফেইম”-এর দলনেতা ও লিড গিটারিস্ট আলী আহসান ভূঁঞা সুমন (সুমন ফেইম)। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যান্ডটির মেইন ভোকাল হুমায়ূন কবীর মাসুম, বিডি ক্লিন ময়মনসিংহের মতিউর রহমান ফয়সাল প্রমূখ।

ফেইমের এই কার্য্যক্রম প্রসঙ্গে ব্যান্ড লিডার আলী আহসান ভূঁঞা সুমন সাপ্তাহিক নব কলতানকে জানান, ‘সাধ্যের মধ্যে অসহায়দের জন্য চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু,  শুকনা মরিচ এবং লবণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় যতটুকু পারছি ততটুকু করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাদের সামর্থ্য আছে তারা প্রত্যেকেই যদি নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাড়ান তাহলে হয়তো তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এ ছাড়া আরও সেচ্ছাসেবী সংগঠন এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসলে আরও বেশি পরিমাণ দুস্থ লোকের সহায়তা করা সম্ভব হবে।’

ফেইমের এই উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। ফেইমের দেওয়া সামগ্রী হাতে পেয়ে মাঝবয়েসী রিকশাওয়ালা বরকত তার আনন্দের কথা জানান। তারমতে, লকডাউনের এই সময়টায় তাদের মতো দিন এনে দিন খাওয়া মানুষরা পড়েছেন বেকাদায়। তাদের কাছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কার চেয়ে এখন বড় আতঙ্ক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে তিনবেলা খাবার না জুটার মতো অবস্থা। ‘ভাইয়েরা যেই সাহায্য করলাইন হেইডা এই কঠিন সময়ে ম্যালা উপকারে লাগবো। হেগোর মতো সবাই আগাইয়া আইলে আমরা গরীব মানুষেরা বাঁচবার পাইতাম।” এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন বরকত।

Share this post

scroll to top